সাদেক এগ্রোর প্রতারণা: কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে দুদকের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ১৫:৫৫

সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে দুদকের অভিযান
বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকার সাভারে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই খামার থেকেই আলোচিত ছাগলকাণ্ডের সাদিক অ্যাগ্রোকে নিষিদ্ধ ব্রাহমা গরু সরবরাহ এবং প্রতারণামূলকভাবে সহায়তার অভিযোগে এই অভিযান চালিয়েছে দুদক। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম এই তথ্য জনিয়েছেন।
আজ সোমবার (১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে দুদকের ৯ সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এই অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে সাদিক এগ্রোর ব্যবসা সম্পর্কিত নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়। তাতে সাদিক এগ্রোকে নিয়মবহির্ভূত সহায়তার কিছু তথ্য মিলেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে আমেরিকান ব্রাহমা গরু আমদানি নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু ২০২১ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সে করে ১৮টি ব্রাহমা গরু দেশে আনে সাদিক অ্যাগ্রো। এগুলোর মধ্যে একটি গরু আকাশপথেই মারা যায়। গরু আমদানির বৈধ কাগজ উপস্থাপন করতে পারেননি সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন।
সে সময় সাদিক অ্যাগ্রো তিনটি জাল নথি জমা দিয়েছিল। নথিগুলো হলো- গবাদিপশু আমদানি-সংক্রান্ত একটি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণী কোয়ারেন্টাইন বিভাগের কাছ থেকে একটি চিঠি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গবাদিপশু আমদানির অনুমতিপত্র, যার প্রতিটিকেই জাল হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন তখনকার শুল্ক কর্মকর্তারা।
জাল নথি দিয়ে গরু আনার ওই ঘটনায় তখন মামলা হয়। আদালতের রায় আসে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষে। ফলে ওই ১৭টি ব্রাহমা গরু বাজেয়াপ্ত করে রাখা হয় কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে। এরকম আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
দুদক উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, সাদেক অ্যাগ্রোকে অনৈতিক সুবিধা প্রদানের অভিযোগে সাভার কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে অভিযান চলছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে গত শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ এলাকায় সাদিক এগ্রোর পুরো খামার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। খাল উদ্ধারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উচ্ছেদ অভিযানের তৃতীয় দিন খামারটি একেবারে ভেঙে দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
সাদিক এগ্রোর পুরো খামার গুঁড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ট্রেড লাইসেন্স না থাকা, আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক স্থাপনা এবং খালের পাড় ঘেঁষে স্থাপনা গড়ার নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে।