
সরকারি চাকুরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে সহিংসতার অভিযোগ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গণগ্রেপ্তার চলছে। ছবি: সংগৃহীত।
সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেন ১ জুলাই থেকে। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে প্রায় সারা দেশে। এর পরদিন থেকে এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, সংঘর্ষ, সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ আন্দোলনে ২০১ জনের মৃত্যুর খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় এসব ঘটনায় অনেক মামলা হয়েছে। এখনো বিভিন্ন জায়গায় মামলা হচ্ছে।
এই সব মামলার আসামীদের ধরতে সারাদেশে চলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান। চলছে গণগ্রেপ্তার। জানা গেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযানে গত ৯ দিনে (১৭ থেকে ২৫ জুলাই) সারাদেশে প্রায় ৫০০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ২ হাজার ২০৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের বেশির ভাগই বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী। কোথাও কোথাও পুরোনো মামলায়ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
রাজধানী ঢাকায় সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর, সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় মহানগরের বিভিন্ন থানায় ২০১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ২২০৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের এডিসি কে এন রায় নিয়তি জানান, সহিংসতা, নাশকতার ঘটনায় গোয়েন্দা তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার ৭৩ মামলায় ১৭৫৮-কে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আর গতকাল ১২৮ মামলায় ৪৫১ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এরমধ্যে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ২০১ জনকে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
অন্যদিকে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় যারা সহিংসতা করেছে তারা যেন ঢাকা শহর না ছাড়তে পারে, সেই লক্ষ্যে ডিএমপি পরিকল্পনা করছে। আরও কিছু মামলা দায়ের হওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা মামলাগুলোর কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, একটি মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র আকতার হোসেনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আকতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক। তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ১৭ জুলাই গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ওই মামলার এজাহারে বলা হয়, অজ্ঞাতনামা বহুসংখ্যক কোটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের সমর্থনে আন্দোলনকারীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, অজ্ঞাতনামা ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ জন কোটা আন্দোলনকারীকে আসামি করে ১৭ জুলাই শাহবাগ থানায় মামলা করেন ছাত্রলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি।
এদিকে চট্টগ্রামে মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারে তাদের ঘর বাড়িতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরীর ১৬টি থানা এবং জেলার ১৫ টি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরো ৬৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে মহানগরীতে ৪০৮ জন এবং জেলায় ৩২৭সহ মোট ৭৩৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মহানগরীর বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে ১৭টি। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩০ হাজার আন্দোলনকারীকে।
নগরীর হালিশহর থানায় ৩৭ জনকে এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাত আরো একশ থেকে দেড়শ জনকে আসামি করে বুধবার রাতে আরো একটি মামলার তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (পি আর) কাজী মো. তারেক আজিজ। জেলায় ১১টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ১০ হাজার আন্দোলনকারীকে।
এদিকে বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের এই যৌক্তিক আন্দোলনে পুলিশ এবং ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নিষ্ঠুরতম হামলা চালিয়ে ছাত্রদের হত্যা করেছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছে অনেক শিক্ষার্থী। পুলিশ হামলাকারী ছাত্রলীগের ক্যাডারদের আড়াল করে উল্টো নির্যাতিত ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাদের গণহারে গ্রেফতার করছে। একই সাথে বিএনপি এবং তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের গণ গ্রেফতার করা হচ্ছে। গত কয়েক দিনে শুধু নগরীতেই সাড়ে তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
রাজশাহীতে কোটা আন্দোলনে সহিংসতার অভিযোগ ১৭টি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে সাতটি মামলা করেছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ। বাকি ১০টি করেছে রাজশাহী জেলা পুলিশ। এসব মামলায় গত কয়েক দিনের অভিযানে ২৮২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম জানান, রাজশাহী মহানগর এলাকায় গত কয়েকদিনে সহিংসতা ও নাশকতার চেষ্টার অভিযোগ সাতটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাত ৯০০ জনকে আসামি করা হয়।
বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর থেকে মোট মামলা হয়েছে ১২টি। এঘটনায় আসামির সংখ্যা ৯৪৫। গতকাল বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এনিয়ে বগুড়ায় গ্রেফতারকৃত আসামির সংখ্যা ৮০ জন। বিভিন্ন মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার চলছে পুলিশের চিরুনী অভিযান।
বরিশালে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মহানগরীর পুলিশের পাঁচটি মামলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দায়ের করা মামলায় ইতোমধ্যে ৮২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দায়ের করা পাঁচটি মামলায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ থাকলেও অপর আসামিগণ অজ্ঞাত। বরিশালে মোট গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১০২ জনকে।
কক্সবাজারে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় কক্সবাজারে এ পর্যন্ত ছয়টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলায় প্রায় দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে তিন শতাধিক। এসব মামলায় এজহার নামীয় আসামি করা হয়েছে ৩২৭ জন। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে এক হাজার ১৬৮ জন।
দিনাজপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দিনাজপুরে সহিংসতার ছয়টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ১৫০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় তিন হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪৭ জনকে।
সিলেটে সংঘর্ষ-হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সিলেটে এ পর্যন্ত ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে ২৪১ জনের নাম। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১৬ হাজার জনকে। এসব মামলায় ১৭ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত ১২৮ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহম্মদ সাইফুল ইসলাম।
খুলনায় গত ১৭ জুলাই থেকে মহানগরসহ জেলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে শতাধিক নেতাকর্মীকে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) তথ্যানুযায়ী, ১৭ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই সকাল ৯টা থেকে পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্রকারীদের সন্ত্রাস ও নাশকতা মামলায় খুলনা মহানগরীর ৮ থানায় ৪টি মামলা হয়েছে। এ ৪ মামলায় সর্বমোট ৯০জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা বিএনপি, জামায়াত এবং ছাত্র শিবিরের সদস্য।
কুষ্টিয়ায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গত ৭ দিনে অজ্ঞাতনামায় ৪টি মামলা হয়েছে। কুষ্টিয়া জেলার ৬টি থানায় বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫২ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে গতকাল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ নিশ্চিত করেছেন।
কুমিল্লায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ভাংচুর ও সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা ৬টি মামলায় ৮ সহস্রাধিক মানুষকে আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় গত ৭ দিনে ১৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাফি।
সাভার থেকে সেলিম আহমেদ জানান, কোটা সংস্কারের আন্দোলনের ঘটনা নিয়ে সহিংসতায় সাভার ও আশুলিয়া থানায় পৃথক ১১ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এখনপর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে জামায়াত, বিএনপি নেতা ও ছাত্রসহ শতার্ধীক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
নোয়াখালীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহজাহানসহ এ জেলায় ৫৭জন নেতার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে পুলিশ। এ মামলায় বিএনপি- জামায়াতের নেতারা ছাড়াও অজ্ঞাত আসামি রয়েছে দু’শতাধিক।
নরসিংদীতে গতকাল বৃহস্পতিবার ২৫ জুলাই বিকাল ৫টা পর্যন্ত জেলায় ছয়টি থানার মধ্যে চারটি থানায় সহিংসতার ঘটনায় ১১টি মামলা ও ১৫৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে এছাড়া এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গতকাল বৃহস্পতিবার ১৫২ জনসহ মোট ৪৬৯ জন পলাতক বন্দি আদালতের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেছে।
ফরিদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ফরিদপুরে কয়েকটি সহিংসতার ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়েছে। এ চারটি মামলায় গতকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫২ জনকে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই জনকে। এছাড়া ওই চার মামলার আসামি ব্যতিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে এ পর্যন্ত আরও ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সর্বমোট ৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।
জামালপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় জামালপুর ১০টি মামলা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে ২৮৪ জনকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৪ জন। পুলিশ বাদী হয়ে ৯টি এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবীরুল ইসলাম খান একটি মামলা করেন।
ঝালকাঠিতে নাশকতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পঞ্চগড়ে সহিংসতার ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে তাদেরকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার রায় জানান, ঘটনার পর থেকে প্রায় ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে।
বরগুনায় কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নাশকতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বরগুনা জেলার বিভিন্ন থানায় ৪০জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা।
নাটোর থেকে মো. আজিজুল হক টুকু জানান, কারফিউ জারির ৬ষ্ঠ দিনে গতকাল বিএনপি-জামায়াতের ১২ নেতাকর্মীকে আটক করেছে জেলা পুলিশ। এ নিয়ে আটকের সংখ্যা ৮৪।
ঠাকুরগাঁওয়ে বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ, পরিকল্পনা ও এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন দিনের চিরুনি অভিযানে ঠাকুরগাঁয়ে চারটি মামলায় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান পয়গাম আলিসহ ২৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে নাশকতাকারীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিকে ঘিরে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনায় কিশোরগঞ্জে মোট পাঁচটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এসব মামলায় মোট এক হাজার ৯৮৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে গত এক সপ্তাহে জেলাজুড়ে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত মোট ৯৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকার ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত ৭৬ জনকে। এ পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন বিগত ৭ দিনে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত সবাই বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। তাদের মির্জাপুর থানার পুরোনো দুটি নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এছাড়া জেলার সখিপুরে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৪ নেতা আটক করেছে সখিপুর থানা পুলিশ। এরা হলেন-নজরুল ইসলাম, জামাল হোসেন, বাবুল হোসেন, সাগর আহমেদ।