বিটিআরসির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি
সরকারি চাকুরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার কারণে টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকে। সরকারের দাবি নোশকতাকারীরা রাজধানীর মহাখালিতে অবস্থিতি ডাটা সেন্টার পুড়িয়ে দেবার কারণে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত ২৩ জুলাই রাতে দেশজুড়ে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হলেও বন্ধ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। পুরোপুরি মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে চালু হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
আজ শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিটিআরসির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখনও মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে রবি-সোমবারে চালু করার পরিকল্পনা আছে।
এদিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ফিরলেও আগের মতো গতি না পাওয়ার কথা বলছেন গ্রাহকরা। এ বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, চেষ্টা চলছে গতিটা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার।
অন্যদিকে ইন্টারনেট না থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছিল ই-কমার্স, পোশাক খাতসহ বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য, বন্ধ থাকে বন্দরের কার্যক্রম। ইন্টারনেটভিত্তিক সব ধরনের সংবাদ সেবাও অচল হয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের ডাকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলাকালে দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ১৭ জুলাই রাতে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে বৃহস্পতিবার রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়।
তবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা সচল হলেও গ্রাহকদের অভিযোগ তারা নেটের গতি আগের মতো পাচ্ছেন না। ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি করতে গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালুর জন্য ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি। আপাতত ফেসবুক ও টিকটকের ক্যাশ সার্ভার বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তবে, ইউটিউব চলবে বলেও জানিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি।
জানা গেছে, দেশের আইন ও সরকারের নির্দেশনা না মানায় বন্ধ থাকবে মেটার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। তবে, যদি ফেসবুক সরকারের নির্দেশনা মানার নিশ্চয়তা দেয়, তখনই এটি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।