আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হামলাকারীদের ফুটেজ দেয়া হয়েছে। তারা পরপর দুইবার পদ্মা সেতুতে আগুন লাগাতে গিয়ে ছিলো। শেখ হাসিনার যা অর্জন তা ধ্বংস করতে চায় তারা। এসব ধ্বংসযজ্ঞ দেখে নেত্রী (শেখ হাসিনা) কষ্ট পাচ্ছেন।

আজ শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর বনানীর ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন  পরিদর্শন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন,  কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সংহিংসতার বিষয়টি সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ নয়। বিএনপি-জামায়াত এই আন্দোলনের উপর ভর করেছে। তাদের দীর্ঘ দিনের ব্যর্থতার জন্য এমন হামলা। তারা গণতন্ত্র মানে না। আগুন, অস্ত্র নিয়ে নেমেছে তারা। কত মানুষের প্রাণের প্রদীপ নিভে গেছে। মর্মান্তিক দৃশ্যপট, সাংবাদিকও নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মেট্রোরেল না থাকায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। ৩০ মিনিটের পথ দুই ঘণ্টায়ও যেতে পারছে না। মেট্রোরেল কবে নাগাদ চালু হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।

তিনি আরো বলেন, আন্দোলনের উপর ভর করে যারা রাজনৈতিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যখন যেখানে যা করার তা করবো। প্রধানমন্ত্রী নিজেই সব ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় গিয়েছেন।

এদিকে আজ শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রত্যক্ষ করতে সেতু ভবন পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং ওইসময় সেখানে পার্ক করে রাখা অনেক গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

গত ১৮ জুলাই প্রায় আড়াই শ’ থেকে তিন শ’ অজ্ঞাত ব্যক্তি সেতু ভবনে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি যানবাহন, মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন শেড ও কক্ষ ভাংচুর করে। পরে তারা সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা সেখানে অনেক কর্মচারীর ওপর হামলা ও মারধর করে। এছাড়া সেতু ভবনে অর্ধশতাধিক গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।