বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়কসহ ডিবির হাতে আটক সব শিক্ষার্থীকে মুক্তি দিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ।

আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। এ সময় হত্যা, অবৈধ আটক ও নির্যাতনের বিচারের দাবি করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগের গুলিতে নিহতদের বিষয়ে স্বচ্ছ তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত, হতাহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ, জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের তত্বাবধানে তদন্তসহ ১১ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ডিবি কর্মকর্তাদের ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিচ্ছি। এ সময়ের মধ্যে তারা যদি ছয় সমন্বয়ককে নিঃশর্ত মুক্তি না দেয়, তবে আমরা ডিবির সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেব।’

অনুষ্ঠানে বক্তারা শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি, রাতের আধারে ব্লক রেইডের নামে হাজার শিক্ষার্থী আটক ও হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে সব ‘আটকের’ মুক্তির দাবি করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

বক্তারা আরও বলেন, আন্দোলন দমনের মিশনে নেমেছে সরকার। এতে অনেক মানুষের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষত হয়েছে। সেই ক্ষত না বাড়ানোর আহ্বান জানান তারা।