যশোরে সাংবাদিক, ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীসহ ১১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৫ জনে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারে বুধবার ১১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
এর মধ্যে যশোরের ৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১টি পজিটিভ রেজাল্ট পাওয়া যায়। বাকি ৪৮টি নমুনা যশোরের পাশের জেলা ঝিনাইদহ, মাগুরা ও নড়াইলের। এর সবকটিরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। নেগেটিভ রেজাল্টের মধ্যে ঝিনাইদহের ৩৩টি, মাগুরার ৯টি এবং নড়াইলের ৬টি নমুনা রয়েছে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারের পরীক্ষাগারের সদস্য ও এনএফটি বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. শিরিন নিগার জানান, জেনোম সেন্টারে বুধবার ১১৩টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে মোট ১১ জনের শরীরে করোনার জীবাণু রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আক্রান্তরা সবাই যশোর জেলার। বাকি ঝিনাইদহ, মাগুরা ও নড়াইলের ৪৮টি নমুনার মধ্যে সবকটিরই নেগেটিভ ।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, যশোরে ১১জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ৪জন, কেশবপুর উপজেলার ২ জন, মণিরামপুর উপজেলায় ৪জন এবং চৌগাছা উপজেলায় ১জন। এর মধ্যে চৌগাছা উপজেলা আক্রান্ত তিনি চিকিৎসক, মণিরামপুরে আক্রান্ত ৪জন হাসপাতালের স্টাফ, কেশবপুরে একজন স্বাস্থ্যকর্মী এবং অপরজন ক্লিনিকে চাকুরি করেন। আর যশোর সদর উপজেলায় ৪জনের মধ্যে একজন যশোর শহরের পোষ্ট অফিস পাড়া, দুইজন হাসপাতালের ভর্তি রোগী, একজন শহরের মিশন পাড়ার এক ব্যক্তি।
মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. শুভ্রারানী দেবনাথ বলেন, সোমবার সাতজনের নমুনা সংগ্রহ করে সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারে পাঠানো হয়। তার মধ্যে বুধবার চারজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। চারজনই হাসপাতালের স্টাফ।
তার মধ্যে একজন সেকমো, একজন করোনা নমুনা সংগ্রহকারী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, একজন অফিস সহকারী ও একজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। চারজনের মধ্যে দুইজনকে হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হবে। বাকি দুইজন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেবেন, বলেন ডা. শুভ্রা।
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত চারজনের বাড়ি লকডাউন করা হচ্ছে।
যশোর সদর উপজেলার আক্রান্ত ৪জনের মধ্যে একজন সাংবাদিক রয়েছেন। তার বাসা শহরের পোষ্ট অফিস পাড়ায়।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউনের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি।