
তিনদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। ফাইল ছবি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘অসহযোগ আন্দোলন’কে ঘিরে সহিংসতার কারণে আবারো তিনদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। একইসঙ্গে গতকাল রবিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউও জারি করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল রবিবার (৫ আগস্ট) সাধারণ ছুটি ঘোষণা নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, সরকার ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট (সোম, মঙ্গল ও বুধবার) নির্বাহী আদেশে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।
সাধারণ ছুটিকালীন সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।
এতে আরো বলা হয়, জরুরি পরিষেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে। এ ছাড়া হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মী, চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী এবং জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিস এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনকে ঘিরে রোববার সারা দেশে সংঘর্ষ-সহিংসতায় অন্তত ৯৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৪ পুলিশ সদস্য রয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক শ’ মানুষ। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে সহিংসতার অভিযোগে গত ১৬ দিনে প্রায় ১২ হাজার সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সরকার পতনের এক দফা দাবিকে কেন্দ্র করে নাশকতাসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে অন্তত পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ বলেছে, সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গতকাল শনিবার পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় করা অন্তত সাড়ে পাঁচ শতাধিক মামলায় এদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।