নোবেল জয় থেকে অন্তর্বর্তী-সরকার প্রধান: ড. ইউনূসের উত্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২৪, ২১:৪৭

নোবেল বিজয়ী বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
নোবেল বিজয়ী বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণ ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছিলেন শিক্ষকতা পেশায়। সেখান থেকে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা। পরে ওই ব্যাংককে সাথে নিয়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছিলেন তিনি।
১৯৪০ সালের ২৮শে জুন চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মুহাম্মদ ইউনূস। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় মুহাম্মদ ইউনূস মেধা তালিকায় ১৬তম স্থান অধিকার করেন এবং চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৭ সালে মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই বিএ এবং এমএ পাশ করেন।
পড়াশোনা শেষে তিনি ব্যুরো অব ইকোনমিক্স-এ যোগ দেন গবেষণা সহকারী হিসাবে। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে চট্টগ্রাম কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন।
১৯৬৫ সালে তিনি স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান। পরে ভেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন।
১৯৭২ সালে দেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন এবং ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এ পদে কর্মরত ছিলেন।
এই সময়ের মধ্যেই ১৯৭৬ সালে তিনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। ক্ষুদ্রঋণের ধারণার মাধ্যমে সারাবিশ্বে একটি সাড়া ফেলে গ্রামীণ ব্যাংক।
গ্রামীণ ব্যাংককে সাথে নিয়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জনের পর থেকে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে বিশ্বেও সুনাম কুড়িয়েছিলেন অধ্যাপক ইউনূস।
২.
ড. ইউনূস প্রচলিত ধারার অর্থনীতিবিদ নন। শুধু গবেষণা, তত্ত্ব বা বিশ্লেষণে থেমে থাকেন না তিনি। নিজে তত্ত্ব ও ধারণার জন্ম দেন এবং তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করে দেখিয়ে দেন। জামানতবিহীন ও যৌথ দায়দায়িত্বভিত্তিক ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের সাফল্য ২০০৬ সালে তাঁকে এবং তাঁর গ্রামীণ ব্যাংককে এনে দিয়েছিল নোবেল পুরস্কারের মতো সর্বোচ্চ বৈশ্বিক সম্মান। এ পর্যন্ত ৪২টি দেশে ১৩২টি প্রতিষ্ঠান অনুসরণ করেছে গ্রামীণ ব্যাংকের মডেল।
তাঁর সামাজিক ব্যবসা ধারণা আরও গভীর জায়গায় সংস্কারের কথা বলে। এতে উদ্যোগ, বিনিয়োগ, উৎপাদন, বিতরণ, ভোগ—সব ক্ষেত্রে সামষ্টিক মানুষের কল্যাণ, অর্থনৈতিক সাম্য ও সুযোগের সমতার কথা বলা হয়েছে। তিনি শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব আর শূন্য কার্বন এমিশনের যে পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেন, তা অর্জনে সবচেয়ে বড় কর্মপন্থা হিসেবে সামাজিক ব্যবসা ধারণা দিয়েছেন। এ ব্যবসা প্রচলিত পুঁজিবাদী ধারণার বিরোধী। এ ব্যবসার লক্ষ্যই হচ্ছে জনকল্যাণমূলক, মানুষের সমস্যা সমাধান (যেমন পানীয় জল, স্বাস্থ্যসেবা, পয়োনিষ্কাশন, সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ)। এতে বিনিয়োগকারী কোনো লভ্যাংশ গ্রহণ করেন না এবং লাভের টাকা বিনিয়োগ করা হয় সামাজিক ব্যবসা সম্প্রসারণ ও এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও সামাজিক কল্যাণে। তবে ব্যবসার লাভ থেকে তিনি বিনিয়োগের টাকা তুলতে পারেন এবং কাজের জন্য যৌক্তিক পারিশ্রমিক নিতে পারেন বলে এতে তাঁর নিজেরও কর্মসংস্থান হয়, সঙ্গে থাকে সামাজিক দায়িত্ব পালনের তৃপ্তি
ড. ইউনূস তাঁর লেখায় বলেছেন, অতি কেন্দ্রীভূত, অতি পরিবেশবিনাশী, অতি পুঁজি শাসননির্ভর পৃথিবীকে বদলে ফেলতে হলে আমাদের অর্থনীতির প্রচলিত ‘হার্ডওয়্যার আর সফটওয়্যার’ পরিবর্তন করতে হবে। এ জন্য সম্ভবত ‘সফটওয়্যার’ হিসেবে তিনি সামাজিক ব্যবসা ধারণা দিয়েছেন।
সামাজিক ব্যবসায় তিনি বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি সহায়তার (মূলধন, নীতি, কাঠামোগত) প্রয়োজনের কথা বলেছেন। সবচেয়ে বেশি বলেছেন ব্যক্তি মানুষের নিজের উদ্যোগের কথা। এ জন্য তিনি প্রচলিত শ্রম বিভাজনকে ভাঙতে বলেছেন। ব্যক্তি শুধু পরিবারের দেখাশোনা করবে ও কর দেবে, আর সরকার সব সমষ্টিগত সমস্যার দেখভাল করবে, তিনি তা ঠিক মনে করেন না। তিনি মনে করেন, সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিও স্বাস্থ্যসেবা, পানীয় জল সরবরাহ, কর্মসংস্থান জলবায়ু এসব সমস্যার সমাধান করবে।
তিনি যে ইনক্লুসিভ ও অংশগ্রহণমূলক উদ্যোগের কথা বলেন, তা রাজনৈতিকভাবেও উদার গণতন্ত্রের ধারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যমূলক। এটি তাই আশ্চর্য নয় যে তাঁর সামাজিক ব্যবসা উদ্যোগে সবচেয়ে বেশি সাড়া এসেছে উদার গণতান্ত্রিক দেশগুলো থেকে। সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে এসেছে ফ্রান্সের ডানোন ফুডস, ভিয়োলিয়া ওয়াটার, জার্মানির বিএএসএফ, জাপানের ইউনোক্লোসহ উন্নত বিশ্বের বহু নামীদামি কোম্পানি।
অন্যান্য ক্ষেত্রেও এর প্রভাব আরও জোরালো হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৩৩টি দেশে ৮৩টি বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজে তাঁর নামে ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে গবেষণা হচ্ছে তাঁর কাজ ও জীবনাদর্শ নিয়ে। সামাজিক ব্যবসার ওপর একাডেমিক কোর্স চালু হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জীবনী অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কানাডা ও জাপানের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে। পৃথিবীর মাত্র সাতজন ব্যক্তির একজন বাংলাদেশের ড. ইউনূস, যিনি পেয়েছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল।
৩.
শেখ হাসিনার শাসনামলে গত দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে কোণঠাসা ছিলেন ড. ইউনূসে। কর্তৃত্ব হারিয়েছিলেন নিজের প্রতিষ্ঠিত সেই গ্রামীণ ব্যাংকের। নোবেল পুরস্কার অর্জনের মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় রাজনৈতিক দল গঠনের কার্যক্রম করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন অধ্যাপক ইউনূস।
২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি সেনাবাহিনীর সমর্থনে এবং ফখরুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। সে সময়কার সেনাবাহিনী তাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হবার দায়িত্ব নিতে বলেছিলেন। তবে তিনি তা নাকচ করে দিয়েছিলেন।
নোবেল পুরষ্কার লাভ করার মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যেই রাজনৈতিক দল গঠন করা কার্যক্রম শুরু করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি সেনাবাহিনীর সমর্থনে এবং ফখরুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। এর কিছুদিন পর থেকেই অধ্যাপক ইউনূসের রাজনৈতিক দল গঠনের গুঞ্জন শুরু হয়।
যদিও ফখরুদ্দিন আহমদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান করার আগে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে অধ্যাপক ইউনূসকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।
ওয়ান ইলেভেনের এগারো বছর পর, একটি লেখার প্রতিক্রিয়ায় ২০১৮ সালের জুন মাসে বিবৃতির মাধ্যমে অধ্যাপক ইউনুস কেয়ারটেকার সরকার প্রধান হওয়ার আকাঙ্খার কথা জোর গলায় অস্বীকার করেছিলেন।
গবেষক-লেখক মহিউদ্দীন আহমেদ একটি লেখায় দুজন সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে লিখেছেন, মুহাম্মদ ইউনূস কেয়ারটেকার সরকার প্রধান হওয়ার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ার প্রধান কারণ ছিল এই সরকারের স্বল্প মেয়াদ।
সে লেখার প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক ইউনূস বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, “সেনাবাহিনীর প্রস্তাবে আমি কেন রাজী হইনি এ বিষয়ে যে কারণ তারা উল্লেখ করেছেন তা একেবারেই কল্পনাপ্রসূত। একেবারে হদ্দ বোকা না-হলে একজন অরাজনৈতিক বেসামরিক ব্যক্তি সেনাবাহিনীর নিকট তাঁকে দীর্ঘমেয়াদের জন্য একটি সরকারের প্রধানের পদে রাখার এরকম আবদার করার কথা কখনো চিন্তা করতে পারবে না।”
পরবর্তীতে তিনি সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন।
ওয়ান-ইলেভেনে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরাতে ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ বেশ আলোচনায় ছিল।
২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বরের নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন। ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলার পেছনে অধ্যাপক ইউনূসকে একজন মাস্টারমাইন্ড মনে করতেন শেখ হাসিনা।
এরপর ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর গত দেড় দশকের বেশি সময় ধরে ব্যাংকের কর্তৃত্ব হারানোসহ বিভিন্ন মামলায় আদালতে বারবার হাজিরা দিতে হয়েছে অধ্যাপক ইউনূসকে। গ্রেপ্তারের আশঙ্কায়ও ছিলেন তিনি।
গত মার্চে বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূস বলেছিলেন, সে সময় রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ ভুল ছিল। যে ভুলের খেসারত তাকে দিতে হচ্ছে এখনো।
৪.
গত সোমবার (৫ আগস্ট) গণ আন্দোলনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস সক্রিয় রাজনীতিতে আসার কথা নাচক করে দেন। বর্তমানে প্যারিসে থাকা ইউনূস বলেন, “আমি রাজনীতিতে আসার মত মানুষ নই।”
তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দেখতে চায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ছাত্রদের প্রস্তাবে অবশেষে রাজি হন এই নোবেলজয়ী ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে সর্বজন গ্রহণযোগ্য আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথেও আমাদের কথা হয়েছে। তিনি ছাত্র জনতার আহ্বানে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে এই গুরুদায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছেন।”
আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ফ্রান্স থেকে ঢাকায় ফেরেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি আজ দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছে। ড. ইউনূসকে বরণ করেন সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, বিমান বাহিনী প্রধানসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যারা এটি করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, তারা (সমন্বয়কেরা) দেশকে রক্ষা করেছে। দেশকে পুনর্জন্ম করেছে।”
এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আজকে আমার আবু সাঈদের (রংপুরে গুলিতে নিহত বেগম রোকোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী) কথা মনে পড়ছে। অবিশ্বাসী একটা সাহসী যুবক। যে আবু সাঈদের কথা দেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁধে আছে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছে।”
তিনি বলেন, “ছাত্ররা আমাদের পথ দেখিয়ে দিয়েছে। সবার সহযোগিতায় সেই পথে আমরা এগিয়ে যাবো। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা অগ্রসর হবো।”