ওষুধের গাড়িতে মিলল রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নথি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৪, ২০:১৮

ওষুধের গাড়িতে করে নেওয়া হচ্ছে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নথি।
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় ওই সড়ক দিয়ে একটি ওষুধের গাড়ি যাচ্ছিলো। শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হলে তারা ওই গাড়ি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। তখন চালক গাড়িতে ওষুধ আছে বলে দাবি করেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সেটি মেনে নেননি। তারা চালককে গাড়ির দরজা খুলতে বলেন। পরে শিক্ষার্থীদের চাপে দরজা খোলেন চালক। তখন দেখা যায় সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের ছবিসহ ওষুধের গাড়িতে করে নেওয়া হচ্ছে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নথি। যদিও চালক দাবি করেন, তিনি বাসা বদলানোর জন্য এসব নিয়ে যাচ্ছিলেন।
আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। তবে ওই চালক ওষুধের গাড়িতে মালামাল কেন নিয়ে যাচ্ছেন এমন প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি।
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সড়কে শৃঙ্খলার কাজ করছিলেন। সন্দেহ হলে তারা চালককে দরজা খুলতে বলেন। তখন গাড়ির চালক জানান, ভেতরে ওষুধ আছে ও কাপড় আছে। এসময় সন্দেহ হলে শিক্ষার্থীরা তাকে দরজা খুলে দেখাতে বলেন। কিন্তু তিনি দরজা না খুলে তাড়াহুড়ো শুরু করেন। এরপর জোর করা হলে এবং অন্য সব শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে গাড়ি ঘেরাও করলে তিনি দরজা খোলেন। এরপর বেরিয়ে আসে ভেতরের চিত্র। সেখানে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নথিসহ নানা কাগজপত্র পাওয়া যায়।
এক শিক্ষার্থী জানান, গাড়ির চালকের লাইসেন্সও ছিল না। এরপর সন্দেহ হয় তাদের। তারপর গণমাধ্যম সেখানে গেলে তারা লাইভে থেকে গাড়ির ভেতরে কী ছিল তা খুলে দেখান। সেখানে বেরিয়ে আসে নানা সরকারি নথি। তার মধ্যে একটি কাগজে শেখ হাসিনার সহকারী ও একান্ত সচিবের স্বাক্ষর আছে। বিভিন্ন মামলার কাগজও পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, সেখানে একটি বেসরকারি ব্যাংকের চেক ছিল। যদিও চেকটি দেখাননি তারা।
শিক্ষার্থীরা আরো জানান, তারা নথিপত্র দেখে বুঝতে পারেন, এসব রাষ্ট্রের সাবেক প্রধান আইন কর্মকর্তার। তখন তারা বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে সেনাবাহিনীকে খবর দেন। তারা সবকিছু সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেবেন। সেনাবাহিনী সেগুলো দেখবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অপর একজন শিক্ষার্থী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিল ওই ওষুধের গাড়িতে।