
রিকশাচালকদের পর এবার ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকরা। ছবি: সংগৃহীত
রিকশাচালকদের পর এবার ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকরা। গতকাল বুধবার (২৮ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত শ্রমিক সংগঠন ঢাকা জেলা ফোর স্ট্রোক অটোরিকশা (সিএনজি) ড্রাইভার্স ইউনিয়নের ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করেন চালকরা। এর আগে চলতি মাসের ১৯ তারিখে চট্টগ্রামেও ১০ দফা দাবি দিয়ে আন্দোলন ও ধর্মঘট ডেকেছিলেন চালকরা।
গতকাল বুধবার (২৯ আগস্ট) বিআরটিএর সামনে অবস্থান নিয়ে চালকরা বলেন, সরকার নির্ধারিত দৈনিক জমা ৯০০ টাকার পরিবর্তে মালিকরা এক শিফটে ১ হাজার ১৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা নিচ্ছেন এবং দুই শিফটে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত জমা আদায় করছেন। এমনকি মালিক সমিতি গত ২০২২ সালের ২৩ মে থেকে আবার জমা বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। চালকদের কাছ থেকে এই অতিরিক্ত জমা আদায় বন্ধ করতে হবে। মালিক সমিতি চালকদের জমা আদায়ের রসিদ দিতে হবে। আমাদের প্রধান দাবি, সরকার নির্ধারিত দৈনিক জমা ৯০০ টাকা করতে হবে। চালকদের ১০ দফা দাবি আদায়ে এখানে আমরা এসেছি। এই দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।
তারা বলেন, ২০১৫ সাল থেকে চালকদের ওপর মালিক সমিতি নির্যাতন করছে। ঢাকায় পাঁচ হাজার গাড়ি ও চট্টগ্রামে চার হাজার গাড়ি চালকদের মধ্যে বিতরণ করলে চালকরা মালিক সমিতির নির্যাতন থেকে মুক্তি পাবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বলেন, প্রায় এক হাজার সিএনজি মালিকের কাছে ঢাকা শহরের প্রায় এক লাখ সিএনজিচালক ও এক কোটি যাত্রী জিম্মি। যাত্রীদের ধারণা সিএনজিচালকরা যাত্রীদের ওপর জুলুম করেন। কিন্তু চালকরা কতটা অসহায় সে কথা কখনো কেউ জানেই না, শোনেও না। নিয়োগপত্র না থাকায় চালকরা বছরে তিন-চারবার বেকার হন। আমরা এসবের একটি স্থায়ী সমাধান চাই। আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের বিষয়গুলোর দিকে একটু নজর দিক।