
দিলীপ কুমার আগারওয়ালা। ছবি: সংগৃহীত
ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তোলার পর পুলিশ তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে।
ছাত্র-জনতা আন্দোলনে রাজধানীর বাড্ডায় তরুণ হৃদয় আহমেদ হত্যা মামলার শুনানি শেষে বিচারক মো. মেহেদী হাসান তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ মামলার ২০ নম্বর আসামি তিনি।
দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিন্টু রোডের গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে সিএমএম কোর্টে আনা হয় তাকে। পরে তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে দিলীপ কুমার আগারওয়ালাকে রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
সম্প্রতি রাজধানীর বাড্ডা থানায় মো. শাহাদাত হোসেন খান বাদী হয়ে দিলীপ কুমার আগারওয়ালার নামে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি ২৩ আগস্ট রুজু করা হয়। মামলায় দিলীপ কুমারের বিরুদ্ধে হত্যা ও সহায়তার অভিযোগ আনা হয়।
এদিকে, রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় নামমাত্র শোরুম দিয়ে ডায়মন্ডের বদলে উন্নতমানের ‘কাঁচের টুকরো’ বিক্রি এবং স্বর্ণ ও হীরা চোরাচালানের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীলিপ কুমার আগরওয়ালা এবং এর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
মঙ্গলবার সিআইডির মিডিয়া বিভাগ জানায়, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীলিপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ ও হীরা আমদানির নামে বিদেশে অর্থপাচার, প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন জেলায় নামমাত্র শোরুমের মাধ্যমে প্রকৃত ডায়মন্ডের বদলে উন্নত মানের কাচের টুকরোকে প্রকৃত ডায়মন্ড হিসাবে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া দীলিপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে দুবাই-সিঙ্গাপুরে স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, ভারতের কলকাতায় ৩টি জুয়েলারি দোকান ও ১১টি বাড়ি এবং মালয়েশিয়া, দুবাই ও কানাডায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং প্রতারণার মাধ্যমে ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অবৈধভাবে একটি ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।