ক্ষমা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০১

‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজ’ (সিজিআিই) স্টেজে তাদের সাথে যে ছেলেটি গিয়েছিল সে অনুপ্রবেশকারী। বুধবার দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।
পোস্টে মাহফুজ লেখেন, সিজিআইয়ের অনুষ্ঠানের ওই ব্যক্তি অনুপ্রবেশকারী এবং অসৎ লোক। তার এ অনুপ্রবেশ নাশকতার অংশ। ওই ব্যক্তি নিজস্ব ক্ষমতাবলে সিজিআই ইভেন্টে যোগ দিয়েছেন। আমরাসহ ডেলিগেটরা তার উপস্থিতি ও উদ্দেশ্য জানতাম না। এমনকি সে ডেলিগেটদের কারও সঙ্গে যোগাযোগও করেনি।
ড. ইউনূসের বিশেষ সহকারী আরও লেখেন, স্যার আমাদের মঞ্চে ডাকলে হুড়মুড় করে আমাদের আগে মঞ্চের দিকে তিনি দৌড়ে আসেন। আমি তাকে মঞ্চে যাওয়া থেকে প্রতিরোধ করতে পারিনি, যদিও আমি সন্দেহজনক ছিলাম। এছাড়া বিশ্বনেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে আমি অসহায় ছিলাম। এটি ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর অন্তর্ঘাতের একটি পূর্ব-পরিকল্পিত কাজ।
তিনি আরও লেখেন বলেন, আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের নেতারা, সমন্বয়কারী ও যোদ্ধাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা তার অনুপ্রবেশ রোধ করতে পারিনি। আমরা আগামী দিনে গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকব এবং এই অনুপ্রবেশকারীদের এবং ৫ আগস্টের অন্যান্য আন্দোলনকারীদের জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসব।’
এদিকে অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা তার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আব্দুল্লাহকে সাম্প্রতিক কোটাসংস্কার আন্দোলন ও পরে সরকার পতন আন্দোলনের কারিগর হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ছাত্র–জনতার আন্দোলনের প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, এ আন্দোলন খুব পরিকল্পিতভাবে (অগোছালো নয়) চালিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিছুই হঠাৎ হয়নি।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দেলনের সময় বিদেশে থাকা ড. ইউনূস বলেন, আমি বুঝতে পারছিলাম না, বাংলাদেশে কী ঘটছে। হঠাৎ বাংলাদেশের সব তরুণ একত্র হয়েছেন এবং বলছেন, যথেষ্ট হয়েছে। আমরা আর এসব (অন্যায়, বৈষম্য) সহ্য করব না। তারা সহ্য করেননি, তারা বিগত সরকারের ছোড়া গুলির সামনে দাঁড়িয়েছেন। তরুণেরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমি কিছু ভিডিও দেখেছি। তারা সেখানে এমনভাবে দাঁড়িয়েছিলেন, বলছিলেন, আমাদের কতজনকে আপনারা হত্যা করতে পারবেন। আমরা এখানে আছি, আমাদের হত্যা করুন। তারা নতুন একটি বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছেন।
এই অনুষ্ঠানের মঞ্চে ড. ইউনূস তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলার ফাঁকে সফরসঙ্গীদের তিনজনকে পরিচয় করিয়ে দেন। এসময় প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বিশেষ সহকারী মাহফুজ আব্দুল্লাহকে সাম্প্রতিক কোটাসংস্কার আন্দোলন ও পরে সরকার পতনের আন্দোলনের কারিগর হিসেবে উল্লেখ করেন।