মায়ের ডাকের সংগঠক সানজিদার ভাইকে বাসা থেকে তুলে নেওয়ায় নাগরিক কমিটির ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:৩৯

সাইফুল ইসলাম শ্যামল। ফাইল ছবি
গুমবিরোধী সংগঠন 'মায়ের ডাক'-এর সংগঠক সানজিদা ইসলাম তুলির ভাই সাইফুল ইসলাম শ্যামলকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন কর্তৃক গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- ‘জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ও বলপ্রয়োগমূলক গুমের বিরুদ্ধে সক্রিয় সংগঠন 'মায়ের ডাক'-এর সংগঠক সানজিদা ইসলাম তুলির বড় ভাই সাইফুল ইসলাম শ্যামলকে আজ বিকাল ৩ টায় কোনোরূপ গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়া তার বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। জাতীয় নাগরিক কমিটি এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়- ‘বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদি রেজিমের মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক কর্মকাণ্ড অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে পুনরাবৃত্তির ঘটনায় আমরা বিস্মিত।’
শ্যামলকে বেআইনি কায়দায় কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা ব্যতিরেক বাসা থেকে কেন তুলে নিয়ে যাওয়া হলো সরকারের কাছে তার ব্যাখ্যা চায় নাগরিক কমিটি।
গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়- ‘বাংলাদেশের অগণিত মানুষের জীবনের বিনিময়ে জুলাই অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। পুরোনো ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার কলকব্জা যে এখনো বহাল তবিয়তে আছে এ ঘটনা তারই নজির মাত্র। শ্যামলকে তার পরিবার ফিরে পেয়েছে ঠিকই, কিন্তু এ ধরনের একটা ন্যাক্কারজনক ঘটনার পেছনে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
‘আমরা কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী রেজিমের কোনো চর্চা বর্তমান সময়ে এসে দেখতে চাই না। আমরা মনে করি, স্রেফ অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো নাগরিককে বেআইনি কায়দায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ব্যতিরেক জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া এবং পরিবারের সাথে বাজে ব্যবহার করা ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। মানবাধিকার বিরোধী কর্মকাণ্ড চিরতরে অবসান ঘটানোর জন্য জাতীয় নাগরিক কমিটি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপের লক্ষ্যে দেশবাসীকে ঐকবদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছে। ’
‘জাতীয় নাগরিক কমিটি বারবার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে; কিন্তু তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। উপরন্তু জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটে চলেছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে ফ্যাসিবাদী প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে অভ্যুত্থানের গণঅভিপ্রায় সমুন্নত রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশের জনগণ পুরোনো ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’