
জাতীয় নাগরিক কমিটি। ফাইল ছবি
গত ৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গণঅভ্যুত্থানের এক দফা তথা ‘ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৫৫ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক কমিটি আত্মপ্রকাশ করেছিল। কমিটিতে নতুন করে ৭ জনের নাম অন্তুর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে কেন্দ্রীয় কমিটির সংখ্যা দাঁড়ালো ৬২ জনে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় নাগরিক কমিটি ছাত্র- নাগরিকের অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে। ছাত্র-নাগরিকের অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া দুইজন শহীদের পরিবার আজ জাতীয় নাগরিক কমিটি’র মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে সামান্তা শারমিন বলেন, কেবল জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত শহিদ ও আহত যোদ্ধাদেরই নয়; বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদি আমলে নানা সময় যারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এবং স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেসব শিক্ষার্থী অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদেরকে ন্যায়বিচার পাওয়ার লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ‘প্রো-বোনো সার্ভিস’ তথা বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেবে।
আইনি সহায়তা কার্যক্রম চালু রাখার জন্য ৭ জনকে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যভুক্ত করা হয়েছে। এরা হলেন মুস্তাফিজুর রহমান মুকুল, জহিরুল ইসলাম মুসা, মনজিলা ঝুমা, হুমায়রা নূর, সাকিল আহমাদ, ফাতিমা আক্তার (তাহসিন), প্রিয়াসী চাকমা।