সরকারের কণ্ঠস্বর আরও জোরালো হতে হবে: আনু মুহাম্মদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৪৬

অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ। ছবি- সংগৃহীত
অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু ও ভিন্ন মতাদর্শের ওপর হামলা বন্ধ করার বিষয়ে সরকারের কণ্ঠে জোর নেই। এটা দেশের জন্য বিপজ্জনক। এর ফলে সুবিধা হচ্ছে স্বৈরশাসকদের, ভারতের হিন্দুত্ববাদীদের। অবিলম্বে হামলা বন্ধে সরকারকে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।
আজ শনিবার (৫ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমণ্ডলে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাস: পর্যালোচনা, প্রস্তাব ও মতবিনিময়’ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির উদ্যোগে এই সভা হয়।
আনু মুহাম্মদ বলেন, নিহত আহতের তালিকা তৈরিতে কালক্ষেপণ হচ্ছে। সরকারের এত সোর্স থাকার পরও আহত ও নিহতদের তালিকা বের করতে এত সময় কেন লাগছে? এটা তো কঠিন কিছু নয়। নিহতদের পরিবারকে কেবল এক লাখ টাকা ধরিয়ে না দিয়ে তাদের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। তবে ছাত্র সংসদ থাকতে হবে। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সংগঠন থাকবে সেটা রাজনৈতিক হতে হবে তেমন কথা নেই। সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবেও থাকতে পারে।
সভায় গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির পক্ষ থেকে ১৩ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এতে তারা স্বাস্থ্যসেবাকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা এবং পাবলিক হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজ শুরু করার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী দখলদারী তৎপরতা বন্ধ করা; সংবিধান কমিশনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সংবিধানের রূপরেখা প্রকাশ করা এবং জনমতের ভিত্তিতে তা চূড়ান্ত করার দাবি জানান।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সভায় অ্যাক্টিভিস্ট মাহা মির্জা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা, সুফি দার্শনিক কাজী জাবের আহমেদ, চলচ্চিত্রকর্মী আকরাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।