বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষক, চিকিৎসক ও কর্মচারীদের বেতন কাটার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেও ঈদ বোনাস না দেয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে।

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) সদস্যভুক্ত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষক, চিকিৎসক ও কর্মচারীরা পূর্ণ বেতন পাবেন। এ সংক্রান্ত আগের সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিপিএমসিএ’র সভাপতি এম এ মুবিন খান নতুন এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, সোমবার এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এখন রমজান মাস, সামনে ঈদ। আবার অনেকের অন্য কোনো পেশা নেই বা অন্য কোনো চেম্বারেও বসছেন না। এ অবস্থায় গত ২ মে ৬০ শতাংশ বেতন দেয়ার যে সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছিলাম, সেটি মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। সেক্ষেত্রে যাদের ৬০ শতাংশ বেতন দেয়ার কথা বলা হয়েছিল তারা পূর্ণ বেতনই পাবে।

ঈদ বোনাস না দেয়ার সিদ্ধান্তও পাল্টানো হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন,  এ সময়ে সবাই আসলে আমরা চিকিৎসা সেবাদান চালিয়ে যাওয়া নিয়ে বেশি মনযোগী। এটি একটি দুর্যোগ পরিস্থিতি আর এ অবস্থায় ঈদ বোনাস বা উৎসব ভাতা দেয়াটা আসলে সম্ভব নাও হতে পারে। তবে আমরা যেহেতু একটি পরিবার তাই আশা করছি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কেউ দ্বিমত করবেন না। তবে এ বিষয়ে এখনো পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত হয়নি।

গত ২ মে বিপিএমসিএর নির্বাহী কমিটির সভায় বেতন-বোনাস কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের তা চিঠি দিয়ে জানানো হলে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়।

সংগঠনের সভাপতি এম এ মুবিন খান ও সাধারণ সম্পাদক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. মোহাম্মদ এনামুর রহমানের স্বাক্ষরে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালে বাংলাদেশের সব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল গভীর সংকটের সম্মুখীন হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাই সংগঠনের সদস্যভুক্ত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষক, চিকিৎসক ও কর্মচারীদের উৎসব বোনাস প্রদান করা হবে না।

এতে বলা হয়, এপ্রিলের বেতন যেটা মে মাসে প্রদান করার কথা; সব অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকদের ক্ষেত্রে মোট বেতনের ৬০ শতাংশ প্রদান করা হবে। তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির সব কর্মচারী শতভাগ বেতন পাবেন। কলেজ স্টাফ যারা অনুপস্থিত, তারাও ৬০ শতাংশ বেতন পাবেন এবং যেসব চিকিৎসক বা অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন তাদের বেতন শতভাগ প্রদান করা হবে।