
গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ পরে দেশছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে কোথায় রয়েছেন, সেই বিষয়ে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেছে ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এদিনই ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এখনও ভারতেই রয়েছেন। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘শেখ হাসিনার অবস্থানের বিষয়ে আমি আগেই বলেছিলাম যে, তিনি স্বল্প সময়ের নোটিশে ভারতে এসেছেন। তিনি এখনও ভারতেই অবস্থান করছেন।’
আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ আরও ৪৫ জনের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণ আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত ৬০টির বেশি হত্যা ও গুমের অভিযোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪টিতেই মূল আসামি শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিল্লি থেকে ফেরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শেখ হাসিনা দিল্লিতেই আছেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে কী প্রক্রিয়ায় তাকে ফেরত আনা হবে তা স্পষ্ট করেননি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘একমাস সময় দিয়েছেন আদালত। এই সময়ের মধ্যে ফেরত আনতে যা যা করা প্রয়োজন আমরা চেষ্টা করব।’