নির্বাচনের সময় নিয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ নজরুল

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:১০

আইন বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ফাইল ছবি
আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব হতে পারে— নির্বাচন নিয়ে নিজের এমন বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন আইন বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আজ শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের প্রোফাইলে একটি পোস্টে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে আসিফ নজরুল লিখেন, সম্প্রতি একটি টিভি আলোচনায় আমি বলেছি, নির্বাচন হয়ত আগামী বছরের মধ্যে সম্ভব হতে পারে, তবে এক্ষেত্রে অনেকগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে। সেখানে এসব ফ্যাক্টর পুরোপুরি ব্যাখ্যা করার সুযোগ পাইনি। কিন্তু আমাদের সরকারের কথা থেকে সবাই বুঝবেন যে নির্বাচনের জন্য সংস্কার ও রাজনৈতিক সমঝোতার কথা বলা হয়। এগুলোই সেই ফ্যাক্টর।
তিনি লিখেছেন, সংস্কারের কথা আমিও অনুষ্ঠানে বলেছি। আরও কিছু ফ্যাক্টর আমি অনুষ্ঠানটিতে ব্যাখ্যা করেছি, যেমন- সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ইত্যাদি। এসব ফ্যাক্টর ঠিক থাকলে নির্বাচন হয়তো হতে পারে আগামী বছর। বলেছি এটিও আমার প্রাথমিক অনুমান।
শর্তভিত্তিক ধারণা ও অনুমানকে কিছু গণমাধ্যম নির্বাচনের ঘোষণা হিসেবে দেখাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি আরও লিখেন, বিনয়ের সাথে বলছি, এটি সঠিক নয়। নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পলিসি ডিসিশন। এর সময় সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঠিক হবে। তিনিই একমাত্র এটি ঘোষণার এখতিয়ার রাখেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এক গণমাধ্যমের সংবাদ পর্যালোচনামূলক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, আমার কাছে মনে হয়, রিয়েলিস্টিক্যালি আগামী বছরের মধ্যে (২০২৫) ইলেকশন করাটা হয়ত সম্ভব হতে পারে।
সরকার ‘কিছুদিনের মধ্যেই’ সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এরপর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কথাও বলেন উপদেষ্টা।
এদিকে, গতকাল শুক্রবার কক্সবাজারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও সেনাপ্রধানের বক্তব্য সরকারের বক্তব্য নয়। সরকার যতদিন নির্দিষ্ট করে বলবে না ততদিন নির্বাচনের সময় নির্ধারিত নয়।
এর একদিনের মাথায় নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এছাড়া, সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধানও নির্বাচন কবে হতে পারে, সে বিষয়ে আভাস দিয়েছিলেন।
রয়টার্সকে তিনি বলেছিলেন, সংস্কারের মধ্য দিয়ে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে বাংলাদেশের ‘গণতন্ত্রে উত্তরণ’ ঘটা উচিত। তবে সে জন্য সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।