
রাষ্ট্রচিন্তা নামক সংগঠনের ঢাকা ইউনিটের সদস্য দিদারুল ভূঁইয়াকে রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে পরিবার।
র্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার (অপস) আবু জাফর বুধবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে জানান, রমনা থানায় দায়ের করা একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদের পর রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
দিদারুলের পরিবারের অভিযোগ, ‘মঙ্গলবার ইফতারের সময় রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন উত্তর বাড্ডার হল্যান্ড সেন্টারের পেছনের চ-৫৫/১ বাসার ষষ্ঠ তলার অফিস থেকে র্যাব-৩ এর পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ভবনের ষষ্ঠ তলায় দিদারুলের রাষ্ট্রচিন্তার অফিস। ইফতারের সময় ভবনের গার্ড এসে জানায় র্যাব এসেছে। দিদারুল স্যারকে নিয়ে যাচ্ছে। সাদা পোশাকের হলেও তারা র্যাবের পরিচয় দিয়ে বলেন, আরো দুজনকে তারা আটক করেছেন। তাদের সাথে দিদারুলের যোগাযোগ রয়েছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখতে তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
তবে সে সময় র্যাব-৩ এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়টি অস্বীকার করেন।
রমনা থানায় দিদারুলকে সোপর্দের বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে (৬টায়) দিদারুলকে রমনা থানায় হস্তান্তর করেছেন র্যাব-৩ এর সদস্যরা। ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট দেয়ার অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে রমনা থানায়। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট দেয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদকেও গতকাল মঙ্গলবার লালমাটিয়ার বাসা থেকে আটক করে র্যাবের আরেকটি দল। এরপর তাদের রমনা থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কার্টুনিস্ট কিশোর তার ‘আমি কিশোর’ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনামূলক কার্টুন-পোস্টার পোস্ট করতেন। মুশতাক তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কিশোরের সেসব পোস্টের কয়েকটি শেয়ার করেন।