রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে ছাত্রদলের দেয়াল লিখন

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:২২

৩১ দফা নিয়ে ছাত্রদলের দেয়াল লিখন। ছবি: সংগৃহীত
রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া ৩১ দফা নিয়ে দেয়াল লিখন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ছাত্রদল।
গতকাল শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর পলাশী মোড় থেকে আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পলাশী মোড় থেকে আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফার দেয়াল লিখন কর্মসূচি পালন করেছি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে প্রথম স্বাধীনতার পর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯ দফা ঘোষণা করেছিলেন এবং তার বাস্তবায়নও হয়েছিল। একইভাবে দ্বিতীয় স্বাধীনতার আগে দেশনায়ক তারেক রহমান ৩১ দফা ঘোষণা করেছিলেন, এখন সেটা বাস্তবায়ন করার সময়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে- ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সভাপতি সৌমিক আহমেদ অরণ্য, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান হৃদয়, মোহাম্মদ সোহেল রানা, ঢাকা কলেজের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হল ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নওরোজ আমিন দীপ্ত, বুটেক্সের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন কাজল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা দিপু আহমেদ, তেজগাঁও কলেজের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাইমুল ইসলাম নাজিম, বাংলা কলেজ ছাত্রনেতা তরিকুল ইসলাম নয়ন, হাবিব, নাইম, রাকিব, সাবাব মুকিত, কুশল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ জাতির সামনে উপস্থাপন করেন।
‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ রূপরেখার মধ্যে রয়েছে- (১) সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন, (২) সম্প্রীতিমূলক সমন্বিত রাষ্ট্রসত্ত্বা প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় সমন্বয় কমিশন গঠন, (৩) নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন, (৪) রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, (৫) প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময়সীমা নির্ধারণ, (৬) আইনসভায় উচ্চকক্ষের প্রবর্তন, (৭) সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, (৮) নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি সংশোধন, (৯) স্বচ্ছতা নিশ্চিত করণে সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের পূর্ণগঠন, (১০) জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনঃপ্রবর্তন ও সংবিধানের আলোকে বিচারপতি নিয়োগ আইন প্রণয়ন, (১১) প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন, (১২) মিডিয়া কমিশন গঠন, (১৩) দুর্নীতি প্রতিরোধে দৃশ্যমান কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়পাল নিয়োগ, (১৪) সর্বস্তরে আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, (১৫) অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন, (১৬) ধর্মীয় স্বাধীনতার সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা প্রদান, (১৭) মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনা শ্রমের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা, (১৮) শিল্প, বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি খাত আধুনিকায়ন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা, (১৯) জাতীয় স্বার্থের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করে বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়ন, (২০) প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা, (২১) বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বশাসিত ও ক্ষমতাবান করা, (২২) শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান, (২৩) আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন, (২৪) নারীর ক্ষমতায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ, (২৫) চাহিদা ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা, (২৬) ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ এই নীতির বাস্তবায়ন করা হবে, (২৭) কৃষকের উৎপাদন ও বিপণন সুরক্ষা দিয়ে কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, (২৮) সড়ক, রেল, নৌ পথের আধুনিকায়ন ও বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, (২৯) জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ এবং নদী শাসন ও খাল খননের উদ্যোগ গ্রহণ করা, (৩০) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা এবং আণবিক শক্তির উন্নয়ন ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং (৩১) যুগোপযোগী, পরিকল্পিত, পরিবেশবান্ধব আবাসন এবং নগরায়ন নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।