নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণ
৩ সন্তানের পর মারা গেলেন বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৯

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন, যাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবুল মিয়া (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে করে একই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) চিকিৎসাধীন বাবুলের মৃত্যু হয়। জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রূপগঞ্জ থেকে আসা একই পরিবারের ছয়জনের মধ্যে বাবুল মিয়া নামে আরও একজন মারা গেছেন। তার শরীরের ৬৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বর্তমানে সেলি বেগম ৩০ শতাংশ ও সোহেলের স্ত্রী মুন্নি ২০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছেন। তবে তাদের দুজনের অবস্থাও আশংকাজনক।
এছাড়া ২৯ অক্টোবর রাত পৌনে ৮টার দিকে বাবুল মিয়ার মেয়ে তাসলিমা আক্তার (৯) মারা গেছে। এরআগে তসলিমার বড় ভাই সোহেল ও ইসমাইলের মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর রাত পৌনে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার ডহরগাঁও গ্রামে এই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। দগ্ধ বাবুলের চাচাতো ভাই এনামুল হক জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার সুজাপুর গ্রামে হলেও বর্তমানে তারা ডহরগাঁও এলাকার একটি বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। বাবুল রাজমিস্ত্রির কাজ করেন, আর তার স্ত্রী সেলি এনজেড নামে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। বাবুলের চাচাতো ভাই সোহেল ফকির ফ্যাশন নামক একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন এবং তার স্ত্রী মুন্নি ও ইসমাইল ও তাসলিমাও একই বাসায় থাকতেন।
এনামুল আরও জানান, তারা পাশাপাশি রুমে থাকতেন এবং বাবুলের ঘরে গ্যাস টেনে আনার জন্য একটি কম্প্রেসার মেশিন বসানো ছিল। গভীর রাতে হঠাৎ সেই কম্প্রেসার মেশিনটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়, যার ফলে তাদের ছয়জন দগ্ধ হন। পরে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান।