ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ধানসিড়ি কম্পোজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. দুলাল হোসেন খাঁন।

তিনি বলেন, ‘গাজীপুর জেলার কাশিমপুরের দক্ষিণ পানিশাইল মৌজার জে এল নং-৩৬, খতিয়ান নং আর এস) ৪৩,৬,৬২,৬০,৬১ দাগ নং (আর এস)- ৫৯,৬২,৬৩,৬৫,৬৫ দাগের মোট ১৬৭ শতাংশ জমি ক্রয়ের মালিক আমি। জমি নিচু থাকায় মাটি ভরাট করে ফ্যাক্টরি স্টিল বিল্ডিং নির্মাণ করার সময়ে সাবেক এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকী ও তার ভাই তানজীর আলম সিদ্দিকী তাদের চিহ্নিত সন্ত্রাসী দিয়ে আমার কাজে বাধা দেন এবং জবরদখলের উদ্দেশ্যে আমাকে ভয়ভীতি ও গুম করার হুমকি দেয়।’

‘তারা সুকৌশলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রশাসনের লোক দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ৬৮ দিন আটকে রেখে অতি নির্মমভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়, যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়’, যোগ করেন ধানসিড়ি কম্পোজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। 

তিনি অভিযোগ করেন, ‘অপহরণের সময় আমার গাড়িতে থাকা সাড়ে লাখ টাকা এবং দুটি স্মার্ট মোবাইল ফোন নিয়ে যায়, একটি চেক বই ও ১৫টি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। অপহৃত থাকা অবস্থায় তারা আমার জমি দখল করে নেন। পরবর্তী সময়ে তারা মানিকগঞ্জ জেলার অধীন শিবালয় থানায় আমার নামে অবৈধ অস্ত্র দেখিয়ে মামলা দেন। আমি জামিনে মুক্ত হয়ে জমি উদ্ধারের জন্য গেলে তারা আমাকে আবারও গুম ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’ 

দুলাল বলেন, ‘তৎকালীন গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুনকে দিয়েও পুনরায় আমাকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করে। তাহজীব আলম সিদ্দিকীর নামে জমি লিখে দিতে চাপ প্রয়োগ করে। জমি না লিখে দেওয়ায় (ডিবি প্রধান) হারুন ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে আমার পরিবার থেকে দফায় দফায় তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার জমি উদ্ধারের পাশাপাশি সাবেক এমপি তাহজীবসহ তার লোকজনদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ এ সময় ধানসিড়ি কম্পোজিট লিমিটেডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।