Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

ঈদের আগে খুলছে না মার্কেট-শপিংমল

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২০, ২১:০৭

ঈদের আগে খুলছে না মার্কেট-শপিংমল

ঈদ উপলক্ষে আগামী ১০ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে শপিং মল ও মার্কেট খুলতে অনুমতি দিয়েছে সরকার। সরকার অনুমতি দিলেও করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে থাকায় মার্কেট ও শপিংমল ঈদের আগে খুলছে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। 

শুক্রবার (৮ মে) মার্কেট-শপিংমল খোলা না খোলা নিয়ে দোকান মালিক সমিতির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছন ব্যবসায়ীরা। 

দোকান মালিক সমিতির মতে- বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শর্ত পালন করে দোকান খুলে ব্যবসা করা যাবে না।

এ ব্যাপারে দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, বিদ্যমান অবস্থায় সরকারি শর্ত মেনে দোকান খোলা অনেকটা কঠিন। এ অবস্থায় ব্যবসাও হবে না। এমনটি চিন্তা করে ব্যবসায়ীরা দোকান না খোলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারি ঘোষণার পরপরই ঢাকার অন্যতম দুই সুপারমল বসুন্ধরা ও যমুনা ফিউচার পার্ক না খোলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়। আজ ঈদের আগে দোকান না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি।

এছাড়াও ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর অন্যতম মৌচাক এবং আনারকলি মার্কেটও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই মার্কেটের দোকান মালিক সমিতি।

এদিকে শুক্রবার সিলেটের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তারা ঈদের আগে দোকান খুলবেন না। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকার দোকান মালিক সমিতি ঈদের আগে দোকান না খোলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি জানিয়েছে, আগামীকাল শনিবার আরো কিছু নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সব মিলিয়ে ঈদ কেন্দ্রিক মার্কেট ও বিপনী বিতান খোলার সম্ভাবনা নেই।

অর্থনীতি সচল করতে সরকার ১০ই মে থেকে মার্কেট ও শপিং মল সীমিত পরিসরে খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। শর্ত সাপেক্ষে সকাল ১০টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত মার্কেট খোলা রাখা যাবে বলে সরকারের তরফে বলা হয়। সরকারি এ ঘোষণার পর এলাকা ভিত্তিক দোকান খুলে যাওয়ায় ক্রেতা সমাগম বেড়ে গেছে। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আরো বাড়তে পারে বলে ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন।

এদিকে যার যার বাসস্থান থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত মার্কেট বা শপিংমল থেকে কেনাকাটা করার জন্য নির্দেশ জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ক্রেতাদের জন্য ৭ই মে এমন নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে নিজ নিজ এলাকার শপিংমলগুলোতে কেনাকাটা করতে পারবেন ক্রেতারা। কেনাকাটার জন্য যাওয়া যাবে না অন্য এলাকায়। বাসস্থানের দুই কিলোমিটার এলাকার মধ্যে অবস্থিত মার্কেট বা মলেই সারতে হবে শপিং। ঠিকানা নিশ্চিত হওয়ার জন্য মার্কেটে ঢোকার সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইডি কার্ড (ব্যক্তিগত পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/বিদ্যুৎ, গ্যাস অথবা পানির বিলের মূল কপি দেখাতে হবে)।

এসব শর্তের বিষয়ে কিছু কিছু দোকান মালিক বলেন, যেসব শর্ত দেয়া হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে হাত-পা বেঁধে পুকুরে ফেলে দেয়ার মতো অবস্থা। তার মতে, ঢাকার মধ্যেই একটা লোক যখন যাত্রাবাড়ি বা মিরপুর থেকে নিউ মার্কেট বা মৌচাক মার্কেটে আসতে পারবে না, তখন এই মার্কেট খোলা রাখা না রাখা সমান।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫