জনপ্রশাসন একাডেমির ৭০০ একর বনভূমির বন্দোবস্ত বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:১৮

ম্যাপ। ছবি: সংগৃহীত
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন স্থাপনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ৭০০ একর বনভূমির বন্দোবস্ত বাতিল করেছে সরকার।
গতকাল রবিবার (১০ নভেম্বর) ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুর রহমানের সই করা পত্রে এ অনুরোধ জানানো হয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্দোবস্ত দেওয়া ভূমির মধ্যে সদর উপজেলার ঝিলংজা মৌজায় ‘পাহাড়’ শ্রেণির ৪০০ একর এবং ‘ছড়া’ শ্রেণির ৩০০ একর জমি ‘রক্ষিত বনের’ গেজেটভুক্ত হওয়ায় ওই বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে, ২৯ আগস্ট এ বিষয়ে পরিবেশ উপদেষ্টার পাঠানো আধা-সরকারি পত্রে বলা হয়, বন্দোবস্ত দেওয়া এলাকা ১৯৩৫ সাল থেকে বন আইন ১৯২৭-এর ২৯ ধারার আওতায় রক্ষিত বন হিসেবে ঘোষিত। ২১৪৫.০২ একর ভূমির অংশে গর্জন, চাপালিশ, তেলসুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা এবং হাতি, বানর, বন্য শুকরসহ বিভিন্ন প্রাণীর আবাসস্থল রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ সালে এই বনভূমিতে বনায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
রেকর্ডে 'রক্ষিত বন' উল্লেখ না থাকায় বন বিভাগ এ বিষয়ে মামলা করে। পাশাপাশি, ভূমির বন্দোবস্ত বাতিল চেয়ে একটি রিট মামলাও হাইকোর্টে দায়ের করা হয়। হাইকোর্ট বিভাগ এ বন্দোবস্তের বিষয়ে স্থগিতাদেশ দেন, যা আপিল বিভাগে বহাল রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে ঝিলংজা ইউনিয়নকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে বনভূমির গাছ কাটাসহ প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন নিষিদ্ধ করা হয়। ৭০০ একর রক্ষিত বনও এই সংকটাপন্ন এলাকার অন্তর্ভুক্ত।
সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদ এবং জাতিসংঘ জীববৈচিত্র্য সনদে বন সংরক্ষণের অঙ্গীকার রয়েছে। দেশের বনভূমির পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকায় এই বন্দোবস্ত জনস্বার্থবিরোধী বলে ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়।