সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পিপি ড. খায়রুল কবীর রোমেন করোনাভাইরাস দুর্যোগকালীন সময়ে অসহায় হয়ে পড়া ও আয় রোজগার কমে যাওয়ায় ১২ ভাড়াটিয়ার বাসা ভাড়া মওকুফ করে দিয়েছেন।

পাশাপাশি কোনো সমস্যা হলে তার কাছে প্রাণ খুলে কথা বলার জন্যও ভাড়াটেয়াদের প্রতি আহ্বান জানান। দুঃসময়ে বাড়িওয়ালার এমন মহানুভবতায় কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ভাড়াটিয়ারা।

খায়রুল কবীর সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত অ্যাডভোকেট আব্দুর রইছের ছেলে। তিনি সুনামগঞ্জ আদালতের সাবেক পিপি ছিলেন। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

খায়রুলের হাসননগরস্থ মূল বাসভবনের পাশে পাকা টিনসেডের একটি বড় বাসা রয়েছে। ওই বাসায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত ১২টি পরিবার বাস করে। প্রতি মাসে তিনি ওই বাসা থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা পান। কিন্তু করোনার কারণে অসহায় হয়ে পড়া ওই মানুষের এপ্রিল ও মে মাসের বাসা ভাড়া মওকুফ করে দেন তিনি। 

খায়রুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় নানা প্যাকেজ ঘোষলা করেছেন। তিনি দেশের অসহায় মানুষের জন্য প্রণোদনা দিয়েছেন। আমাদেরও উচিত তার পাশে দাঁড়ানো ও অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করা। করোনার এমন পরিস্থিতিতে নিম্নআয়ের মানুষজন বিপাকে পড়েছে। আমার অবস্থান থেকে আমি আমার ১২জন ভাড়াটিয়ার ভাড়া মওকুফ করে দিয়েছি। অন্যরাও এভাবে এগিয়ে এলে মানুষ এই দুযোর্গ কাটিয়ে ওঠতে পারবে।