
পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। ছবি: সংগৃহীত
রিকশা চালানোর মতো কঠিন কাজের জন্য রিকশা চালকদের স্যালুট দিয়েছেন পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।
তিনি লিখেছেন, ‘লা মেরেডিয়ানের ১৪তম তলায় রিকশা টানা। জীবিকা অর্জনের জন্য প্রায় সমস্ত আবহাওয়ায় সারাদিন ধরে টানাটানি করা সত্যিই খুব কঠিন। রিকশাচালকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। স্যালুট।’
গতকাল শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সামাজিকমাধ্যমে ঢাকার হোটেল লা মেরেডিয়ানে রিকশা চালানোর ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে রিকশায় তার স্ত্রী ও সন্তানকে বসে থাকতে দেখা যায়।
পোস্ট করা ভিডিওর ক্যাপশনে হাইকমিশনার লিখেছেন, ‘বলো কোথায় যাবে, বেগম?
ঢাকার শহরের দৃশ্যপটকে চিহ্নিত করতে হোটেল লে মেরেডিয়ানের লবিতে রাখা রিকশা দেখে তর সইতে পারেননি পাকিস্তান হাইকমিশনার। শেষ পর্যন্ত চালিয়ে দেখেছেনও।
মুহূর্তেই ভিডিওটি নেটিজেনদের দৃষ্টি কেড়েছে। গত বছরের শেষ দিকে ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে জায়গা করে নেয় ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র। ঢাকার রিকশা যে কোনো বিদেশি পর্যটকের কাছে আকর্ষণীয় বিষয়।
পোস্টটির মন্তব্যের ঘরে সানা কামরান মালিক নামে একজন লিখেছেন, আপনার সর্বদা এই শক্তি থাকুক যাত্রীদের প্রতি ভালোবাসা।
মুবাশ্বিরুজজামান হাসান নামে একজন ব্যবহারকারী জানতে চেয়েছেন, রিকশায় যাত্রী কারা ছিলেন। প্রতিউত্তরে মজার ছলে সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেন, স্ত্রী এবং কন্যা। তারা আমাকে ভালো পারশ্রমিক দেয়নি।
পাকিস্তান হাইকমিশনারের এই রিকশা চালানো মূলত প্রতীকী। এর মাধ্যমে এখানকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করে আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রচেষ্টা।
গত কয়েকদিনের ঢাকার কূটনৈতিক পাড়ায় বড় খবর, প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যে নৌপথে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করেছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। এতে নাকি উদ্বেগ তৈরি হয়েছে নয়াদিল্লিতে। বলা যায়, এ উদ্যোগের নেপথ্যের বড় কারিগর পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।