Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

রাজিবপুর সীমান্তে বুনো হাতির আতংকে এলাকাবাসী

Icon

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২০, ১৮:১২

রাজিবপুর সীমান্তে বুনো হাতির আতংকে এলাকাবাসী

কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার মিয়া পাড়া সীমান্তে থেকে রৌমারীর আলগার চর সীমান্ত পর্যন্ত ধান ক্ষেতে বুনোহাতির তাণ্ডবের ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকাবাসী।

ভারতীয় বুনোহাতির দল রাতের আধারে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বেশ কিছু ধান ক্ষেতের ক্ষতি করে নোম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থান করছে।
  
সীমান্তবাসীরা জানান, শুক্রবার রাত ৯টার পর থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত ২ দেশের সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে অবস্থান করেছে বুনো হাতির পালটি। ভারত ও বাংলাদেশের হাজারো সীমান্তবাসী তাদের উঠতি ফসল যাতে নষ্ট করতে না পারে তার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। তবুও বালিয়ামারী বর্ডার হাটের দক্ষিণ পাশের শহিদুল ইসলামের ২ বিঘা খেতের পাকা বোরো ধান খেয়ে ও পদদলিত করে নষ্ট করেছে বলে জানা গেছে।

ইউপি সদস্য আজাদ হোসেন খাঁ  জানান, আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১০৭২ এর উত্তর পাশে দিয়ে ৫০ থেকে ৬০টি বুনো হাতি ভারতের কাঁটা তারের বেড়া অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এরপর সেগুলো ১০৭১ পিলার পর্যন্ত তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করে।

এ সময় বাংলাদেশ ও ভারতের কৃষকগণ তাদের পাকা ও আধা পাকা বোরো ধান  রক্ষার্থে দুই দেশের সীমান্ত থেকে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, আগুন জালিয়ে, পটকা ফাটিয়ে ও নিজেদের শ্যালো মেশিন চালু করে বুনো হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।

তবুও উপজেলার মিয়াপাড়া, বাউল পাড়া, জালচিড়া পাড়া ও বালিয়ামারী সীমান্তবর্তী এলাকার এবং ভারতের বলদান গিরির এলাকার বেশ কিছু উঠতি ফসলের ক্ষতি করেছে বুনোহাতির দল। এ কারণে ঐ সব সীমান্তে এলাকাবাসীর মাঝে হাতি আতংক বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য গত বছর এই একই সময়ে ভারতীয় বুনোহাতির দল প্রায় রাতে কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ফসল ও ঘর-বাড়ির ক্ষতি সাধন করেছিল।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫