রাজধানীর হাজারীবাগে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে ছুরিকাঘাতে আহত সাবেক যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি হাজারীবাগের ২২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। 

আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।

জানা গেছে, জিয়া হাজারীবাগ ভাগলপুর লেনের মৃত হাজী আফতাব উদ্দিনের ছেলে।

জিয়ার বড় ভাই মো. সায়েম বলেন, গত ১৫ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় হাজারীবাগ এনায়েতগঞ্জ মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ পড়ে যখন জিয়া বের হন তখন বিল্লাল, রিপন, মাসুদদসহ ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল এসে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর ও ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরবর্তীতে তাকে নেওয়া হয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর আবার ঢাকা মেডিকেলে এনে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন আজ ভোরে তিনি মারা যান।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। হাজারীবাগ থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

হাজারীবাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. মাহবুবুল আলম জানান, পূর্বের শত্রুতার জের ধরে গত ১৫ নভেম্বর বিকালে এনায়েতগঞ্জ এলাকায় হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এই ঘটনায় মৃতের বোন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। আসামি ধরার জন্য অভিযান চলছে।