Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

বাংলাদেশে রেমডেসিভির উৎপাদনে কে ‘প্রথম’?

Icon

মাহফুজ আদনান

প্রকাশ: ১০ মে ২০২০, ০০:০৩

বাংলাদেশে রেমডেসিভির উৎপাদনে কে ‘প্রথম’?

করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) চিকিৎসায় কার্যকরী হিসেবে প্রমাণিত ওষুধ রেমডেসিভির উৎপাদনে ৬টি ওষুধ কোম্পানিকে অনুমতি দিয়েছে সরকার। 

তবে বাংলাদেশে এ ওষুধ উৎপাদনে ‘প্রথম’ হওয়ার দাবি করেছে দেশের দুই শীর্ষ ওষুধ কোম্পানি বেক্সিমকো এবং এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস।

শনিবার (৯ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেক্সিমকোর দাবি, এসকেএফ নয় সবার আগে রেমডেসিভির উৎপাদন করেছে তারা। গণমাধ্যমে পাঠানো এ বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের স্বপক্ষে যুক্তি দেয় বেক্সিমকো।

এর আগে গতকাল শুক্রবার (৮ মে) করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় কার্যকরী হিসেবে প্রমাণিত ঔষধ রেমডেসিভির বাংলাদেশে সবার আগে উৎপাদনে করেছে বলে ঘোষণা দেয় দেশের অন্যতম শীর্ষ ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি এসকেএফ। তবে একদিন পর ওই তথ্যকে 'বিভ্রান্তিকর ও তথ্যগতভাবে ভুল' দাবি করে বেক্সিমো দাবি করেছে, বাংলাদেশে তারাই সবার আগে এই ঔষধ উৎপাদন করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, বাংলাদেশে বেক্সিমকো ফার্মাই প্রথম এই জেনেরিক ওষুধ উৎপাদন করেছে। শুধু তা-ই নয়, বেক্সিমকো ফার্মাই প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র কোম্পানি যারা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে (ডিজিডিএ) পরীক্ষা ও অনুমোদনের জন্য এই জেনেরিক ওষুধের চূড়ান্ত নমুনা জমা দিয়েছে।"

এর স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে বেক্সিমকো ফার্মার পক্ষ থেকে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "এই ওষুধ উৎপাদনের পর সকল প্রয়োজনীয় অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করার পর ৭ মে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে পরীক্ষা ও অনুমোদনের জন্য চূড়ান্ত নমুনা জমা দেয় বেক্সিমকো ফার্মা। কোনো কোম্পানি বাংলাদেশ বা বিশ্বজুড়ে কোনো ওষুধ সরবরাহ করার আগে এই অনুমোদন গ্রহণের বিষয়টি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক।"

"অনেক আগে রেমডেসিভির উৎপাদন করলেও এর ঘোষণা দেওয়া থেকে বিরত থাকে বেক্সিমকো ফার্মা, কেননা আমরা মনে করেছি যে, নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যাচাইবাছাই ও কার্যকারিতার পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার আগে এ ধরণের ঘোষণা দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অনৈতিক হতো; পাশাপাশি জনগণকেও বিভ্রান্ত করতো।" সামগ্রিক বিষয়টি স্পষ্ট করতে ও বিভ্রান্তি দূর করতে, বৃহত্তর জনস্বার্থে এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি পাঠিয়েছে বলে দাবি করেছে বেক্সিমকো।

এদিকে, শুক্রবার এসকেএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন হোসেন জানিয়েছেন, "করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট এই–পরিস্থিতিতে আমরা দেশবাসীকে এই সুখবর দিতে চাই যে, বিশ্বে করোনার একমাত্র কার্যকর ওষুধ বলে স্বীকৃত জেনেরিক রেমডেসিভির উৎপাদনের সব ধাপ আমরা সম্পন্ন করেছি।"

এসকেএফের উৎপাদন করা রেমডেসিভিরের বাণিজ্যিক নাম দেওয়া হয়েছে 'রেমিভির' বলেও তিনি জানান।

সিমিন হোসেন বলেন, "ওষুধ প্রশাসন গত মার্চ মাসে ওষুধটি ব্যবহারের অনুমতি দেয়। ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদনের পরপরই আমাদের ফর্মুলেশন বিজ্ঞানীরা মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে রেমডেসিভির নিয়ে কাজ শুরু করেন। যেহেতু এটি একটি শিরায় দেওয়া ইনজেকশন, সে কারণে এর উৎপাদনে সূক্ষ্ম প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। দুই মাস ধরে এসকেএফের কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই এত কম সময়ে এটা উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। ওষুধের মূল উপাদান সরবরাহকারীদের সঙ্গে চুক্তি করে পর্যাপ্ত কাঁচামালের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছি আমরা।"

করোনার ওষুধ উৎপাদন করতে অনুমতি পাওয়া বাকি চার কোম্পানিগুলো হলো- বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫