কাউন্সিলরদের ‘পুনর্বাসন’ ইস্যু, অবস্থান পরিষ্কার করল নাগরিক কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:১৫

জাতীয় নাগরিক কমিটির লোগো। ফাইল ছবি
সিটি করপোরেশন কিংবা পৌরসভায় ফ্যাসিবাদি কোনো কাউন্সিলরকে পুনর্বাসনের দাবি করা হয়নি বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
সংগঠনের মুখপাত্র সামান্তা শারমিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত পরশু বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ সিটি ও পৌর কাউন্সিল কর্তৃক ‘ছাত্র গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী সিটি এবং পৌর কাউন্সিলরদের জনস্বার্থে পুনর্বহালের দাবি ও বর্তমান সরকারকে সহযোগিতার লক্ষ্যে’ কাউন্সিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সেই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। ওই সমাবেশে দেওয়া তার বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমসহ জন পরিসরে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। ওই সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ফ্যাসিবাদি আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবি করেননি।
সামান্তা শারমিন বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি কোনো আওয়ামী ফ্যাসিবাদি কাউন্সিলর কিংবা অন্য কোনো পদ-ধারী ব্যক্তিকে স্ব-পদে বহাল চায় না। কিন্তু ফ্যাসিবাদি আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ব্যতীত ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী যারা জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার পক্ষে ভূমিকা পালন করেছিল, তাদেরকে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ৪২(ক) ধারা মোতাবেক ‘প্রশাসক’ হিসাবে নিয়োগ প্রদান করার ব্যাপারে মত ব্যক্ত করেছিলেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
জাতীয় নাগরিক কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত ফ্যাসিবাদি সময়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থা ও কাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। জাতীয় পর্যায়ে ‘একতরফা নির্বাচন’, ‘রাতের ভোট’ এবং সর্বশেষ ‘ডামি নির্বাচন’ ইত্যাদি মডেলে জাতির সঙ্গে আওয়ামী ফ্যাসিবাদিদের প্রতারণা এবং ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার এক মহোৎসব লক্ষ করেছে জাতি। স্থানীয় পর্যায়েও এই ধরনের নির্বাচনি মডেল অনুসরণ করা হয়েছে। এরপরও ফ্যাসিবাদ-বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে জয়লাভও করে। ফলে ‘স্থানীয় সরকার কমিশন’ গঠন করা ছাড়া ওই পরিস্থিতির সঠিক পর্যালোচনা সম্ভব নয়।
আমরা মনে করি, অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্থানীয় সরকার পর্যায়ে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত কার্যকরী রূপরেখা তৈরির পদক্ষেপ নিতে হবে।