
চলমান লকডাউনে শ্রমিক সংকটে ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন রাজশাহীর কৃষকরা। রাজশাহীতে ৮২ শতাংশ ধান মাঠে পড়ে আছে। তবে কৃষি কর্মকর্তাদের ভাষ্য, সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২০-২৫ দিনের মধ্যে রাজশাহী জেলায় ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা।
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় গত আট দিন থেকে ধান কাটা চলছে। উপজেলার মোহনপুরে ক্ষেতের ধান পেকে উঠেছে। দুই একদিন পরেই ধানকাটা শুরু হবে। কিন্তু শ্রমিক পাওয়া নিয়ে কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
তানোরের চিমনা গ্রামের কৃষক আসাদ বলেন, এ বছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে। করোনা সংকটের কারণে ধান কাটতে শ্রমিক সংকট রয়েছে। আমার পাঁচ বিঘা জমিতে বোরোধান রয়েছে। যদি সময়মতো ধান ঘরে তুলতে না পারি তাহলে খুব বিপদে পড়ে যাবো।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ শামসুল হক জানান, রাজশাহী জেলায় ৬৬ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে এবার বোরোধান আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। রাজশাহী জেলায় আলুসহ অন্য ফসল ঘরে তোলার পর বোরো ধান আবাদ শুরু করে কৃষকরা। এ জন্য নওগাঁ ও নাটোরের চেয়ে রাজশাহীতে আবাদ একটু দেরিতে শুরু হয়।
তিনি বলেন, নওগাঁ ও নাটোরের মতো ধান ঘরে তোলার জন্য শ্রমিক সংকট তেমন হবে না। কারণ রাজশাহীর গোদাগাড়ী, তানোর, মোহনপুর, পবা ও বাগমারায় বেশি বোরো আবাদ করা হয়। জেলার অন্য উপজেলায় তেমন বোরোধান আবাদ না হওয়ায় সেখানকার শ্রমিকগুলোকে এসময় পাওয়া যায়। এছাড়াও নাটোর ও নওগাঁ জেলার ধানকাটা শেষ পর্যায়ে হওয়ায় সেসব এলাকার শ্রমিকরাও এখানে এসে ধান কাটবে।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহী জেলায় প্রযুক্তির সাহায্যে মাধ্যমে ধান কাটার জন্য কৃষকদের মাঝে ৪৫টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ও ৪০টি রিপার মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। আশা করা যায় আগামী ২০-২৫দিনের মধ্যে রাজশাহী জেলায় ধান কাটা শেষ করা হবে।