শ্রম সংস্কার কমিশনের সাথে বাংলাদেশ হকার সংগ্রাম পরিষদের প্রতিনিধিগণের মতবিনিয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।   

আজ রবিবার (৫ জানুয়ারী) দুপুর ৩টায় বিজয় নগরের শ্রমভবনের সম্প্রীতি সভা কক্ষে শ্রম সংস্কার কমিশনের সাথে বাংলাদেশ হকার সংগ্রাম পরিষদ এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।   

এ সময় শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সুলতান উদ্দিন আহম্মদের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আবুল হোসেন, সাকিল আখতার চৌধুরী, জাকির হোসেন, রাজেকুজ্জামান রতন, আনোয়ার হোসেন, তাসলিমা আখতার ।

মতবিনিয় সভায় ১৮টি সংগঠন নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ হকার্স সংগ্রাম পরিষদ নেতারা দাবি জানিয়ে বলেন, হকার, পথবিক্রেতা ও ফুটপাত ব্যবসায়ীরা সেবা দিতে গিয়ে  নানা ধরনের হয়রানীর শিকার হন। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও হকার, পথবিক্রেতা ও ফুটপাত ব্যবসায়ীদের মৌলিক মানবাধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিতকল্পে কোনো আইন কিংবা কোনো নীতিমালা প্রণীত হয়নি। হকাররা স্বাধীন দেশের নাগরিক হলেও অধিকার ও মর্যাদাহীনতার কারণে নিজ দেশে পরাধীন।

হকার নেতারা আরও বলেন, নগর পরিকল্পনায় হকারদের জন্য নগরের বিশেষ স্থান নির্ধারণ করার দাবি আমরা বারবার জানিয়ে আসছি। আমাদের এ দাবি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের বসার জন্য এলাকাভেদে নির্ধারিত স্থান দিতে হবে। যেখানে বসে ঝামেলা ভোগান্তিহীনভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা যায়। এছাড়া চাঁদাবাজি, হয়রানী, নির্যাতন বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

তারা বলেন, সরকার যাদের চাকরির ব্যবস্থা সরকার করতে পারেনি, যারা নিজের চেষ্টায় করেছে কর্মসংস্থান, সরকারকে নিয়মিত ভ্যাট ট্যাক্স দিচ্ছে, কেন তাদের কোন পরিচয় পত্র থাকবে না। এই নিয়ে অবশ্যই কমিশন সুপারিশ করবে। কোনো পেশাই অসম্মানের না । রাষ্ট্র কাজ দিতে না পারলেও আমি নিজেই নিজের জীবিকা খুঁজে নিয়েছি, এটা আরও মর্যাদার।

এ সময় শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সুলতান উদ্দিন আহম্মদ বলেন, হকারদের সমস্যা সম্পর্কে আমরা অবগত, তবে এ সমস্যা নিরসনে কি কি করা যেতে পারে এ জন্যই আজ আপনাদের সঙ্গে বসা। আমরা কাজ করছি। এই কাজের স্বীকৃতি চাই, সব শ্রমিকের এটা অধিকার। আমাদের কষ্ট গুলোকে একত্র করা দরকার এবং মূল লক্ষ্য হচ্ছে কষ্টগুলোকে একত্র করে লিপিবদ্ধ করে সুপারিশ আকারে দেওয়া। সেটা যাতে কার্যকর হয় তার জন্য একসঙ্গে কাজ করা আমাদের। আমাদের সন্তানেরা যাতে অহংকারের সঙ্গে বলতে পারে আমার বাবা হকার। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে যেন শ্রমের যাথাযথ মর্যাদা সম্পর্কে সবাইকে অবগত করাতে পারে তারা।