-6785fa54e47c9.jpg)
বাহারি রঙের ঘুড়ি। ছবি: সংগৃহীত
বাহারি রঙে সেজে উঠেছে আকাশ। সকাল থেকেই ছেলে-বুড়ো সব বয়সী মানুষ ব্যস্ত হয়ে পরেছে ঘুড়ি উড়াতে। অন্যদিকে, বাড়িতে বাড়িতে চলছে পিঠা বানানোর ধুম। ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসবের চিত্র এমনটাই থাকে পুরান ঢাকায়। একে পৌষ সংক্রান্তি বা ঘুড়ি উৎসবও বলে। মূলত, পৌষ মাসের বিদায়ক্ষণকে ঘিরে এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব পালন করা হয়।
উৎসবকে কেন্দ্র করে নানান আকারের অসংখ্য ঘুড়ি আর ফানুসের সঙ্গে থাকে আরও বিভিন্ন আয়োজন। সারাদিন এসব এলাকায় আকাশে রঙ-বেরঙের ঘুড়ি ওড়ে। ছাদে কিংবা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঘুড়ি ওড়ানো হয়। বেশির ভাগ সময় ঘুড়ি কাটাকাটি প্রতিযোগিতা চলে। একজন অপরজনের ঘুড়ির সুতা কাটার প্রতিযোগিতা করে।
কোনো প্রাতিষ্ঠানিক উৎসব কমিটি না থাকলেও এই উৎসব বিনা ঘোষণায় হয়ে উঠেছে সামাজিক উৎসব। এই উৎসবে অংশ নিতে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ আসে পুরান ঢাকায়। তাদের মাঝে বেশিরভাগই তরুণ-তরুণী। পুরান ঢাকার স্থানীয়দের সঙ্গে মিশে গিয়ে উৎসবে মাতেন সবাই।
পুরান ঢাকায় ১৪ জানুয়ারি সাকরাইন উৎসব পালিত হলেও শাঁখারিবাজারের আদি হিন্দু পরিবারগুলো একদিন পর অর্থাৎ ১৫ জানুয়ারি এই উৎসব পালন করে।
এক সপ্তাহ আগে থেকেই সাকরাইনকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, সূত্রাপুর, গেণ্ডারিয়া, লালবাগ ও এর আশেপাশের এলাকাগুলোর মানুষেরা সাকরাইন উৎসব পালন করে।