১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন নিজামীও

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:৩৫

মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী। ছবি: সংগৃহীত
আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাসের পর এবার অস্ত্র আইনের মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী।
আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। ঘটনার সঙ্গে জামায়াতের আমিরের সম্পৃক্ততা না থাকায় তাকে খালাস দেয়া হয়।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালের ২৯ জুন রমনা থানা পুলিশ প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মতিউর রহমান নিজামীকে গ্রেপ্তার করে। সেই থেকে কারাবন্দি থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ২০১৬ সালের ১১ মে বুধবার রাত ১২টা ১০ মিনিটে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
হাইকোর্টের রায়ে ১৪ আসামির মধ্যে খালাস পেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন উদ্দিন তালুকদার, তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কে এম এনামুল হক, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব নুরুল আমিন। ভারতীয় নাগরিক পলাতক পরেশ বড়ুয়ার সাজা ১৪ বছর করা হয়েছে।
এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থার তৎকালীন মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, এনএসআইয়ের সাবেক উপপরিচালক মেজর (অব.) লিয়াকত হোসেন, তৎকালীন পরিচালক উইং কমান্ডার (অব.) সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ ও হাফিজুর রহমানকে ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।
মারা যাওয়ার কারণে এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আবদুর রহিম, শ্রমিক সরবরাহকারী দ্বীন মোহাম্মদ ও ট্রলারমালিক হাজি সোবহানের আপিল অকার্যকর করা হয়েছে।
২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক সংক্রান্ত দুটি মামলার মধ্যে চোরাচালান মামলায় (বিশেষ ক্ষমতা আইনে) সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী (ফাঁসির দণ্ড কার্যকর খালাস), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াসহ (যাবজ্জীবন-বর্তমানে ভারতে) ১৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এসএম মজিবুর রহমানের আদালত।
অস্ত্র আইনে দায়ের করা অন্য মামলাটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পেয়েছেন একই আসামিরা। পরে এর বিরুদ্ধে কারাবন্দি আসামিরা আপিল করেন।