-678dde661cdd3.jpg)
শহীদ আসাদুজ্জামান আসাদ। ফাইল ছবি
আজ শহীদ আসাদ দিবস। পাকিস্তানি স্বৈরাচার আইয়ুব খানের পতনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করার সময় ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ঐতিহাসিক ১১ দফা আন্দোলনের হরতাল চলাকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে পুলিশের গুলিতে প্রথম শহীদ হন আসাদুজ্জামান।
তিনি হলেন- ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনের পথিকৃৎ। তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের তিন শহীদদের একজন। অন্য দু’জন হলেন শহীদ রস্তম ও শহীদ মতিউর।
শহীদ আসাদের এই আত্মত্যাগ চলমান আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। সেই থেকে দিনটি শহীদ আসাদ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
আসাদুজ্জামান ১৯৪২ সালের ১০ জুন নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ধানুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালে মৃত্যুকালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে এম এ শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আসাদ তৎকালীন ঢাকা হল (বতর্মান শহীদল্লাহ হল) শাখার পূর্ব-পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে এবং পূর্ব-পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) ৬৯’এর গণঅভ্যূত্থানের মহানায়ক আসাদুজ্জামান আসাদের শহীদ আসাদের ৫৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী।
এ উপলক্ষ্যে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন তার সহযোদ্ধা, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলের নেতারা। এ সময় তার সহযোদ্ধারা জানান, শহীদ আসাদের অসমাপ্ত কাজ এখনো সমাপ্ত হয়নি।
গত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে আসাদের চেতনার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে উল্লেখ করে তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানান, '২৪-এর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনই আসাদের চেতনা। নতুন প্রজন্মের কাছে আসাদকে তুলে ধরতে পাঠ্যপুস্তকে তাঁর স্থান চান তারা।
শহীদ আসাদের স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দেয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবদী দল- বিএনপি। এ সময় শহীদ আসাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বিএনপি কাজ করবে বলে জানান বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান।
মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণে শহীদ আসাদের চেতনা কাজে লাগাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান শ্রদ্ধা জানাতে আসা জনতা।