
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্তকরণ শুরু হয়েছে।
রবিবার (১৭ মে) সকাল দশটায় জেলা বিএফডিসি প্রাঙ্গণে কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ।
পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠান শেষে কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধকালীন সময়ে জেলেদের জন্য নির্ধারিত ভিজিএফ কার্ডের খাদ্যশস্য বিতরণ ও কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা তুজ জোহরা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, বাংলাদেশ নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট, রাঙ্গামাটি উপকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকতা আজহার আলীসহ জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএফডিসি রাঙ্গামাটি কেন্দ্রের তথ্য মতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে কাপ্তাই হ্রদ থেকে ১২ হাজার ৬১৬ টনের অধিক মাছ আহরণের বিপরীতে বিএফডিসির রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১০ হাজার ৪৭৪ টনের অধিক মাছ আহরণের বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে মাছ আহরণ বেড়েছে ২ হাজার ১৪২ টন ও রাজস্ব আদায় বেড়েছে আড়াই কোটি টাকার বেশি।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, অনেক প্রতিকূলতার মাঝেও আমরা চলতি অর্থবছরে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণে রেকর্ড অর্জন করেছি।
তবে শীতকালে ঠাণ্ডার তীব্রতা ও শেষ সময়ে এসে করোনার প্রভাব না পড়লে হ্রদ হতে মাছ আহরণ ও রাজস্ব আদায় দুটোই আরও বাড়ত। আমরা প্রতিবছর কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধকালীন সময়ে কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করে থাকি। বিগত কয়েক বছর ধরে আমরা নিজেদের হ্যাচারিতে উৎপাদিত পোনা অবমুক্ত করে আসছি।
এ বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ২৫-৩০ট ন পোনা অবমুক্ত করবো। উদ্বোধনী দিনে ২ টন পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে লক্ষ্যমাত্রা পর্যন্ত পোনা অবমুক্ত করা হবে।
বিএফডিসি কমান্ডার বলেন, এছাড়া হ্রদে মাছ শিকার বন্ধকালীন সময়ে জেলে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হলেও বিগত দুই বছর তা দেয়া যায়নি।
তবে এবছর রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন ও আমরা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সর্বাত্মক যোগাযোগ করে জেলেদের খাদ্যশস্য বরাদ্দ নিয়ে দিতে পেরেছি। তাই পোনা অবমুক্তকরণের অনুষ্ঠানের সঙ্গে জেলেদের খাদ্যশস্য বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।