রাজধানীর শহীদ দুলাল মঞ্চে ' দক্ষিণ এশীয় ভূ-রাজনীতির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ মিয়ানমার সম্পর্ক: ব্যবসায়িক সুযোগ ও রাজনৈতিক গতিশীলতা অন্বেষণ’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

গত সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ম্যাকলারেন্স ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আমিনুল করিম। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. লে. কর্নেল নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, বিএনসিসিও। 

অতিথি বক্তা হিসেবে অংশ নেন অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন, এবং সঞ্চালনায় ছিলেন অধ্যাপক ড. তানভীর আবির।

অধ্যাপক ড. কলিমুল্লাহ তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের দুটি প্রদেশ বর্তমানে রাখাইন আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, এই বাস্তবতাকে মাথায় রেখে বাংলাদেশকে তার কৌশলগত নীতি প্রণয়ন করতে হবে।

মূল প্রবন্ধে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আমিনুল করিম জোর দিয়ে বলেন, শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি ছাড়া কূটনৈতিক প্রভাব কার্যকর হয় না। তিনি জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের নৌ ও বিমান বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, এটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি গুরুতর সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। তিনি বলেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত নেওয়ার সম্ভাবনা কম এবং এতে ভারত গোপনে প্রভাবিত করতে পারে। 

তিনি আরও সতর্ক করেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে এবং তাদের মধ্যে জন্মহার বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা উপকূলীয় অঞ্চলের জনসংখ্যাগত ও সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।

ম্যাকলারেন্স ক্লাবের প্রধান আবদুল হামিদ বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সংরক্ষণ ও শক্তিশালী করার পক্ষে মত প্রকাশ করেন।

এছাড়া অ্যাডভোকেট কায়সার আহমেদ, এস. এম. লুৎফর রহমান পলাশ, মো. আবদুল্লাহ আল হাসান চৌধুরী, ড. ফারজানা ইসলাম রূপা এবং মো. আজিজুল হকসহ আরও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আলোচনায় তাদের মতামত প্রদান করেন।