চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা সঠিক নয়: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৮
-66c59120a9b72-66cb5e8e3b463-66d72656a7569-67be79faec434.jpg)
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লোগো। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উত্তরবঙ্গগামী চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল হাসানের পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী 'ইউনিক রোড রয়েলস' নামক চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনাটি সঠিক নয়। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার থেকে প্রাপ্ত এ সংক্রান্ত এক ভিডিও ক্লিপে বাসটির এক নারী যাত্রীর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।
বার্তায় আরও বলা হয়, ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, বাসটির এক নারী যাত্রী বলছেন, ‘বাসটিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, তবে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ এতে দেখা যায়, নারী যাত্রী খোলামেলাভাবে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলসের’ একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। চলন্ত বাসে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি শেষে একই জায়গায় বাসটি ঘুরিয়ে নিয়ে গিয়ে ভোর ৪টার দিকে ডাকাতরা নেমে যায়। এ সময় ডাকাতি ছাড়াও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলেন যাত্রীরা।
যাত্রীদের অভিযোগ, ঘটনার পর টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ।
ডাকাতির ঘটনায় বাসের সুপারভাইজার, চালক ও চালকের সহকারীকে আটক করে পুলিশ। পরে ৫৪ ধারায় আদালতে তোলা হলে তারা জামিনে মুক্তি পান।
ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। পরে গত ২২ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বাসে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
সমালোচনার মুখে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দায়িত্বে অবহেলার জন্য টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার একজন এএসআইকে বরখাস্তও করা হয়।