রংপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নিহতদের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই চার আসামি এরই মধ্যে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।

আসামিরা হলেন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমরান চৌধুরী আকাশ, পুলিশের উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আমির আলী এবং কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়।

আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে করা আবেদনের শুনানি শেষে রবিবার (২ মার্চ) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদেশের পর এক ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাইদ। এ ঘটনায় করা মামলায় চার আসামিকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হয়।

অন্য মামলায় গ্রেপ্তার ওই আসামিদের আমরা ট্রাইব্যুনালের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করি। আজ শুনানি শেষে এই চার আসামিকে আগামী ৯ এপ্রিল হাজিরের নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

তিনি আরও বলেন, আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন পুলিশের সাবেক এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়। আর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম ও ছাত্রলীগ কর্মী এমরান চৌধুরী আকাশসহ আরও কয়েকজন ইন্ধন যুগিয়েছিলেন। আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

তবে এই মামলায় প্রধান আসামি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পৃথক তদন্ত প্রতিবেদন চলতি মার্চের মধ্যেই দাখিল করা হবে বলে জানান তিনি।

জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় প্রথম নিহত হন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি।