১২ মার্চের মধ্যে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন বাতিলের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৫, ২০:২৫
-67c9b0547b41b.jpg)
নির্বাচন ভবন। ফাইল ছবি
১২ মার্চের মধ্যে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ বাতিল না করলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
দুপুরে ইসির এনআইডি অনুবিভাগের কর্মকর্তারা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েনের সদস্যরা যোগ দেন। এরপর তারা দাবি আদায়ে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের দপ্তরের সামনে জড়ো হন।
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, ১২ মার্চের মধ্যে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ বাতিল করতে হবে। এই আইন বহাল থাকলে এনআইডি অনুবিভাগ ইসির অধীনে থাকবে না। তাই তারা দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে ১৩ মার্চ বেলা ১১ টায় ইসি সচিবালয়, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট ও মাঠপর্যায়ের সব কার্যালয়ে মানববন্ধন পালন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশন থেকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রুখে দিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এনআইডি অনুবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, দাবি না মানলে তারা প্রথমে অর্ধবেলা কর্ম বিরতিতে যাবেন, এরপর পূর্ণ দিবস। তাতেও মানা না হলে সারা দেশে নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেবেন।
১২ মার্চের মধ্যে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ বাতিল করার দাবি জানান বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিইসিওএ) মহাসচিব মোহাম্মদ মতিউর রহমান।
তিনি বলেন, “যদি দৃশ্যমান অগ্রগতি না হয় তাহলে ১৩ মার্চ সকাল ১১ টায় ইসি সচিবালয়, ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন শাখা, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং সারা দেশের সব মাঠ পর্যায়ের অফিসের সামনে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।”
বুধবারের মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবির বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচির এক পর্যায়ে বেলা ১ টার দিকে নিজ দপ্তর থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
বিক্ষোভরতদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, “সরকার থেকে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না, যা সামনের জাতীয় নির্বাচনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। অতি শিগগিরই ইসি থেকে সরকারকে চিঠি পাঠাব।”
ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, “নতুন কমিশনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আমি শুনিনি। বিষয়টি আলাপ-আলোচনা পর্যায়ে আছে।”
“আমি ইলেকশন কমিশনকে রিপ্রেজেন্ট করি, ইসির অবস্থান তুলে ধরতে পারি সরকারের কাছে। আপনাদের দাবি জোরালোভাবে সরকারের কাছে তুলে ধরব।”