জনগণকে বিভক্তির চেষ্টা করছে পরাজিত শক্তি: উপদেষ্টা আসিফ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৫, ২১:২৮
-67c9bf09c9773.jpg)
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি- কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
গণআন্দোলনের পরাজিত শক্তি জনগণকে বিভক্ত করে একে অপরের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ায় শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, “ষড়যন্ত্র এখনো চলমান। ছোটখাটো নানা ইস্যুতে জনগণকে বিভক্ত করার জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে পরাজিত শক্তি।”
“স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এ ধরনের যেকোনো প্রচেষ্টাকে অন্তর্বর্তী সরকার কঠোরভাবে দমন করবে।”
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষ আবরার ফাহাদকে স্মরণ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আগ্রাসনবিরোধী প্রতিটি লড়াইয়ে অনুপ্রেরণা হিসেবে থাকেন শহীদ আবরার ফাহাদ।”
আসিফ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশের তরুণরা জীবন দেওয়ার প্রেরণা পেয়েছে আবরার ফাহাদের কাছ থেকে। আগ্রাসন থেকে মুক্তির জন্য তরুণেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে রাজপথে। আমরা আগ্রাসী পরাশক্তির বাংলাদেশীয় বড় খুঁটি শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে পালাতে বাধ্য করেছি।”
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদেরকে স্মরণ করে এই উপদেষ্টা বলেন, “দীর্ঘ ফ্যাসিবাদ ও আগ্রাসনবিরোধী সংগ্রামে আবরার ফাহাদসহ যারা আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের বাংলাদেশের মানুষ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মনে রাখবে। সে জন্য কুষ্টিয়া জেলা স্টেডিয়ামের নাম আবরার ফাহাদের নামে করা হয়েছে।”
সারা দেশে সরকারি স্থাপনার নামকরণ গণঅভুত্থানে শহীদদের নামে করা হবে বলে জানান উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদী সরকার আবরার ফাহাদের স্মৃতি মুছে দিতে চেয়েছিল। তারা কোনো সংবাদ করতে দিত না। কর্মসূচি পালন করতে দিত না। কর্মসূচি পালন করতে গেলে হামলা করা হতো। জেল-জুলুমের শিকার হতে হতো।”
অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়ার ডিসি মো. তৌফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদী, যুগ্ম সচিব আমিনুল ইসলাম ও এসপি মো. মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন আবরার ফাহাদের বাবা মো. বরকত উল্লাহ।
এর আগে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আবরার ফাহাদের গ্রামের বাড়ি কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের রায়ডাঙ্গা গ্রামে যান।
আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারতের পর তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার জেরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করেন।
আবরার হত্যাকাণ্ডের দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।