আইজিপি বেনজীর আহমেদ
বৈশ্বিক মহামারির করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরে কেউ ফুর্তি করতে বের হবেন না।
তিনি বলেন, ঈদের সময়ে শহরে-গ্রামে যে যেখানে আছেন, ফুর্তি করতে বের হবেন না। দয়া করে নিজের অবস্থান থেকে বের হবেন না। ঢাকা ছাড়বেন না ও ঢাকায় আসবেন না। জীবনে অনেক ঈদ আসবে। তখন এসব করা যাবে।
আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে পবিত্র ঈদুল ফিতর ও করোনাভাইরাসে সৃষ্ট মহামারি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বেনজীর আহমেদ বলেন, এমন কিছু করবেন না, যাতে এই উৎসব জীবনের শেষ উৎসব হয়। নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে সরকারের নির্দেশনা মানতে হবে। দেশের প্রতিটি মানুষের জীবন গুরুত্বপূর্ণ। ঈদে আনন্দ করার জন্য নিজে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দূত হয়ে পরিবারের সামনে হাজির হবেন না।
মানুষ এই সাধারণ ছুটিকে উৎসব মনে করেছে, পুলিশ কেন কিছু বলছে না? এর জবাবে তিনি বলেন, মানুষকে জোর করে ঘরে রাখা যাবে না। তাদের বুঝতে হবে জীবনটা তার নিজের। নিজের সুরক্ষার কথা নিজেকেই ভাবতেই হবে।
পুলিশ কেন কঠোর হচ্ছে না, এমন আরেক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, সরকার দেশের মানুষের জন্য যা ভালো সেটা করছে। দেশে অনেক প্রান্তিক ও খেটে খাওয়া মানুষ রয়েছে। সরকারকে সার্বিক দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। অনেক দেশ মানুষকে ঘরে রাখতে শক্তি প্রয়োগ করলেও আমরা কোনো শক্তি প্রয়োগ করিনি।
তিনি বলেন, এবছর ঈদে যে যেখানে অবস্থান করছেন, সেখানে থাকতে সরকার নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে মানুষ বিকল্প পথ ধরে চলাচলের চেষ্টা করছে; ফেরিঘাটে ভিড় করছে। তাদের অনুরোধ করব, আপনারা স্বস্থানে ফিরে আসুন। আপনারা দায়িত্বহীনভাবে চলাফেরা করলে আক্রান্ত বেশি হবেন, অন্যকে আক্রান্ত করবেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, গুজবের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একসাথে কাজ করে যাচ্ছে। গুজব ছড়ানো অপরাধ। মিথ্যা তথ্য দিয়ে কেউ দেশবিরোধী অবস্থান নিলে কেউ তা মেনে নেবে না। জনগণকে বিভ্রান্ত করার অধিকার কারও নেই। করলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মাঈনুর রহমান চৌধুরী, বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহীদুল ইসলাম, ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।