-67d6e2374218f.jpg)
প্রতীকী ছবি
গত দুই মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে সারাদেশে ৩৩১ জন কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সারাদেশে চলমান এই শিশু নির্যাতনের যে সংকট, এটি শুধু শিশুদের জীবনকে ধ্বংস করে না বরং সমাজের মূল ভিত্তিকেও নষ্ট করে দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।
রবিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে 'শিশু নির্যাতন ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শিশু অধিকার এনজিওদের প্রতিবাদ ও উদ্বেগ প্রকাশ' শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৮ বছরের নিচে বাংলাদেশের শিশুর সংখ্যা ৫ কোটি ৯০ লক্ষ। এর মধ্যে অর্ধেক হচ্ছে কন্যা শিশু। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর হিসেবে, গত দুই মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৩১ জন কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
বক্তারা জানান, ধর্ষণের যে ঘটনাগুলো আমাদের সামনে আসে কিংবা অভিযোগ দায়ের হয়, তার বাইরে অনেক বেশি ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনা সামনে আসে না এবং প্রকাশিত হয় না, পর্দার অন্তরালেই রয়ে যায়। এই যে শিশুদের নীরবে যে কান্না, এগুলো যখন চরম পর্যায়ে যায় তখনই আমাদের সামনে আসে।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, “শিশুদের প্রতি নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের মতন ঘটনাগুলো আমাদেরকে খুব বেশি দুঃখ ভারাক্রান্ত ও উদ্বেগময় করে তুলেছে। এই সংকট শুধু শিশুদের জীবনকে ধ্বংস করে না বরং আমাদের সমাজের মূল ভিত্তিকেও নষ্ট করে দিচ্ছে। বাংলাদেশের বাড়তে থাকা শিশুদের ওপরে এই নির্যাতন জাতিকেও হতবাক করে দিচ্ছে।”
মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় সমবেদনা জানিয়ে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের এই নির্বাহী পরিচালক বলেন, “এই শিশুর এমন অবস্থা কেন হল, কীভাবে হল, এর উত্তর সমাজ কিংবা রাষ্ট্র দিতে পারবে না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত শিশু নির্যাতনের বিষয়ে বিগত দিনের চিত্র পর্যালোচনা করলে, এক ভয়াবহ চিত্র আমাদের সামনে উঠে আসে। ৮ মার্চ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত ২৪ টি শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাগুলোর প্রথমেই আছে মাগুরায় বোনের বাসায় শিশু নির্যাতনের বিষয়টি। বিশেষ করে ৮ই মার্চ এরকম শিশু নির্যাতনের তিনটি ঘটনা ঘটেছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, প্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস, শিশু সুরক্ষা এবং শিশু অধিকার বিষয়ক সুশাসন সেভ দা চিলড্রেন এর ডিরেক্টর আব্দুল্লাহ আল মামুন, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের কর্মসূচি পরিকল্পনা পরিচালক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, আইনুল সালিশ কেন্দ্রের সমন্বায়ক তামান্না হক।