সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর চারটি ধারার বৈধতা নিয়ে রিট শুনতে ‘বিব্রতবোধ’ করেছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। পরে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠাতে আদেশ দেওয়া হয়।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।

‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ-২০২৫’-এর ৩, ৪, ৬ ও ৯ ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আজমল হোসেন গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রিটটি করেন। ওই অধ্যাদেশের ৩ ধারায় কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা, ৪ ধারায় কাউন্সিল সচিব, ৬ ধারায় কাউন্সিলের ক্ষমতা ও কার্যাবলি এবং ৯ ধারায় আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগবিষয়ক সুপারিশ সম্পর্কে বলা রয়েছে। সোমবার রিটটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ওঠে।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন জয়নুল আবেদীন, আহসানুল করিম ও মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।

শুনানিতে জয়নুল আবেদীন বলেন, “অধ্যাদেশ নিয়ে রিট, বিচারক নিয়োগে কাউন্সিল বিষয়ে।”

তখন বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বলেন, “আমি এখানে পক্ষ। কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে সভায় ছিলাম। তাই আবেদনটি শুনতে পারছি না।”

এক পর্যায়ে রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলেন আদালত। এ সময় আইনজীবী আহসানুল করিম বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আরজি জানান।

পরে আদালত ‘বিব্রতবোধের’ কথা উল্লেখ করে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেন।

আইনজীবীরা বলছেন, বিষয়টি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। তিনি শুনানির জন্য যে বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন, সেই বেঞ্চে রিটের শুনানি হবে।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক নিয়োগের লক্ষ্যে উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাই করে প্রধান বিচারপতি কর্তৃক রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে গত ২১ জানুয়ারি ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ-২০২৫’ বিষয়ে গেজেট জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

ওই অধ্যাদেশের কয়েকটি ধারা সংশোধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়ে গত ২৩ জানুয়ারি আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আজমল হোসেন। এ বিষয়ে তিন দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হয়। আইনি নোটিশের জবাব না পেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন তিনি। রিটে অধ্যাদেশের ৩, ৪, ৬ ও ৯ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।