সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ভিন্নমত জানিয়ে ইসির চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ২১:০৮
-67c06d1e02f8a-67d83adee9a02.jpg)
নির্বাচন ভবন। ফাইল ছবি
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অন্তত ৮টি সুপারিশে ভিন্ন মত জানিয়ে জাতীয় ঐক্য কমিশন কে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের ৮-১০ টি সুপারিশের বিষয়ে ভিন্নমত জানিয়ে ঐক্যমত্য কমিশনের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ বরাবর আজ এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে জানিয়ে আখতার আহমেদ বলেন, “সংস্কার কমিশনের সুপারিশে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে একটি স্বতন্ত্র কমিশন করার কথা বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলেছে এটির প্রয়োজন নেই।”
“এছাড়া সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের যে ফর্মুলা কথা বলা হয়েছে সেটি হলে শহর অঞ্চলে আসন বেড়ে যাবে। ইসি মনে করে ভোটার সংখ্যা জনসংখ্যা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা বিবেচনা করে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা উচিত।”
এর আগেও সংস্কার কমিশনে অনেক সুপারিশ ইসির স্বাধীনতা খর্ব করবে বলে মন্তব্য করেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। ওই সময় উল্লেখযোগ্য তিনটি সুপারিশের সমালোচনা করে সিইসি বলেন, “বিদায়ী ইসির কার্যক্রম তদন্তের ভার সংসদীয় স্থায়ী কমিটির হাতে দিলে এবং সীমানা পুননির্ধারণ ও ভোটার তালিকা নিয়ে স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষ করার সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে, তা ইসির স্বাধীনতা ‘খর্ব করবে’।”
ঐক্যমত্য কমিশনের কাছে পাঠানো চিঠিকে কমিশনের স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, “কমিশনের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে বলেই আমাদের মতামত দেয়া। কমিশনের ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ রয়েছে বলেই আমরা সেটি জানিয়েছি।”
নির্বাচন কমিশনের দায়বদ্ধতা ও নির্বাচন কমিশনারদের শাস্তির বিষয়ে সংস্কার কমিশন যে সুপারিশ করেছে তাতেও ভিন্ন মত জানানো হয়েছে বলে জানান আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এজন্য একটি ব্যবস্থা এখনই রয়েছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল আছে। যদি নির্বাচন শেষ হওয়ার পাঁচ বছর দশ বছর পর নির্বাচন কমিশনারদের আদালতে দৌড়াতে হয় এটি কি যৌক্তিক হবে। নির্বাচনের জয়ী হবেন একজন বাকিরা সংক্ষুব্ধ হয়ে যে কোনো অভিযোগই করতে পারেন।”
ইসি সচিব আরও বলেন, ‘সংস্কার কমিশন নির্বাচনের পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সার্টিফাই করার বিষয়ে একটি সুপারিশ করেছে। নির্বাচন কমিশন মনে করে, এটির প্রয়োজন নেই। কারণ, ফলাফলের যে গেজেট প্রকাশিত হয়, সেটি সার্টিফিকেশন।”
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুবিভাগ কমিশনের কাছেই থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “২০০৭ সাল থেকে এনআইডি ব্যবস্থাটি আমরা গড়ে তুলেছি। এটি আমাদের কাছেই থাকা উচিত বলেই চিঠিতে উল্লেখ করেছি। বরং এটির বহুমুখী ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।”