জেলাগুলোতে যথাযোগ্য মর্যাদায় কুচকাওয়াজ আয়োজন হবে: ফারুক-ই-আজম

এম ডি হোসাইন
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৪

উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
ফারুক-ই-আজম জন্মগ্রহণ করেছেন চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা ফারুক-ই-আজম মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। নৌ-সেক্টর পরিচালিত সফল গেরিলা অভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট’-এর সাব-কমান্ডার ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করে। ফারুক-ই-আজম বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই আলাপচারিতায় সাম্প্রতিক দেশকাল-এর সঙ্গে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। কথোপকথনে অংশ নিয়েছেন এম ডি হোসাইন।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপন বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, স্বাধীনতা দিবসের আগে কুচকাওয়াজের বদলে এবার প্রথমবারের মতো বিজয় মেলা করার আলোচনা হয়েছিল। কারণ আগে যে প্রচলিত কুচকাওয়াজ হতো, এতে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকত না, সেখানে স্কাউট ও স্বেচ্ছাসেবকরা থাকত। তার সঙ্গে অন্যান্য বাহিনী থাকত। এতে সরাসরি জনগণের সম্পৃক্ততা ছিল না। এবার শিশু, নারী, পুরুষ সব শ্রেণির জনগণকে সম্পৃক্ত করে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু নানা কারণে বিজয় মেলাও করা যাচ্ছে না।
কেন বিজয় মেলা করা যাচ্ছে না, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, রমজান চলছে, ঈদের ছুটি এবং ২৬ মার্চ- এই তিনটা উপলক্ষ একসঙ্গে পড়েছে। এই সময়ে ঝুঁকি কমানোর বিষয়ে সরকারের মধ্যে আলাপ হয়েছে। যে কারণে বিজয় মেলার পরিকল্পনাটিও বাদ দিতে হয়েছে।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ হবে না বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তা নিয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। সেখানে বলা হয়েছে, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে এ বছর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে না। এ বিষয়ে তিনি বলেন, জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ চলমান থাকায় গত কয়েক বছরের মতো এ বছরও ঢাকায় কুচকাওয়াজ আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না। তবে দেশের বাকি ৬৩ জেলায় যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে কুচকাওয়াজ আয়োজন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সব জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো আনন্দ করার মেজাজে নেই, আমরা এখন একটা ওয়ার মুডে আছি। এ ছাড়া সেনাবাহিনী এ মুহূর্তে সারা দেশে ব্যস্ত। একটা প্রস্তুতির বিষয়ও আছে। তাই এবার কুচকাওয়াজ হচ্ছে না।’
বিজ্ঞপ্তিতে কুচকাওয়াজের স্থান জাতীয় স্টেডিয়াম বলা হলেও স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ রীতি অনুযায়ী কুর্মিটোলায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছে। এটা নিয়ে তারা চিন্তাভাবনা করেই একটা ব্যাখ্যা দিয়েছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ভালো বলতে পারবে।