Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

সাড়ে ৯৬ কোটি টাকার সহায়তা পেয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহতরা

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৭:১০

সাড়ে ৯৬ কোটি টাকার সহায়তা পেয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহতরা

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন মীর স্নিগ্ধ। ছবি- সংগৃহীত

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের মাঝে এখন পর্যন্ত ৯৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার অনুদান বিতরণ করা হয়েছে। ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, হতাহতদের পুনর্বাসনে আরও একাধিক প্রকল্প হাতে রয়েছে। ঈদের পর নতুন করে অনুদান সংগ্রহের কথাও জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

মীর স্নিগ্ধ বলেন, “জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন একটি বেসরকারি সংস্থা। আমরা জুলাই-আগস্টে আহত ও শহীদ হওয়া পরিবার নিয়ে কাজ করি। শুধু আহত বা শহীদ নয়, জুলাই-আগস্টের স্মৃতিগুলো সংরক্ষণও এই ফাউন্ডেশনের অন্যতম কাজ। সরকারিভাবে তাদের পুনর্বাসনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর করা হয়েছে।”

কাজের সর্বশেষ তুলে ধরে তিনি জানান, এই ফাউন্ডেশন কাজ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭৪৫টি শহীদ পরিবারকে ৩৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা আর্থিক সহয়তা দেওয়া হয়েছে। এটি মোট গেজেটেড শহীদ পরিবারের ৮৭.১৩ শতাংশ। আহতদের মধ্যে ৫ হাজার ৫৯৬ জনকে ৬৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এটা তালিকাভুক্ত আহতদের ৩৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৩৪১ জনকে ৯৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে।

একইসঙ্গে আহত ও শহীদ পরিবারের সঠিক ডকুমেন্টস না থাকা এবং পারিবারিক নানা দ্বন্ধের জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী।

ফাউন্ডেশনের আর্থিক দিক দেখাশুনা করা নির্বাহী কমিটির সদস্য আহসান হাবিব জানান, আমরা শহীদ ও আহতদের পরিবারের জন্য নানামুখী প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এর মধ্যে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির ব্যবস্থা, শিক্ষাবৃত্তি ও ভোকেশনাল প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মমুখী করত কাজ করছি।

“জুলাইয়ে হতাহত হওয়াদের পরিবার এখনও মানসিক ট্রমার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা একটি বিদেশি সংস্থার সাথে কথা বলছি। এটা সঠিকভাবে এগোলে এপ্রিল ও মে মাসে আমরা তাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ শুরু করবো।”

আর্থিক সংস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা সরকারের থেকে ১০০ কোটি এবং বেসরকারি খাত থেকে ১০ কোটি টাকার ফান্ড পেয়েছিলাম। যার মাধ্যমে আমরা ৬ হাজারের অধিক মানুষ ও পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। যাতে আমাদের ৯৬ কোটি টাকার অধিক ব্যয় হয়েছে। আমরা ঈদের পর বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানির কাজে ফান্ডের জন্য যাবো। শহীদ পরিবার প্রায় কাভার করা হয়েছে কিন্তু আহতদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই বাকি। পাশাপাশি ক্যাটগরি থাকায় অনেককে এক লাখ টাকা অধিক দিতে হবে।”

চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে নির্বাহী কমিটির অপর সদস্য সাবরিনা আফরোজ শ্রাবন্তী বলেন, “আমরা নিয়মিত দুই থেকে তিনজন প্রতারক শনাক্ত করছি। তারা আহত না কিন্তু নানাভাবে তারা নিজেদের আহত প্রমাণ করছে। তাদের এমআইএস ভ্যারিফাই করা, যদিও তারা আন্দোলনে আহত না। তারা নিয়মিত ফাউন্ডেশনের আসছে, ফলে আমাদের টিমকে সিআইডির মতো কাজ করতে হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এই প্রতারকদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমাদের মূল কাজ ব্যহত হচ্ছে।”

এছাড়া আহত ও নিহতদের চূড়ান্ত তালিকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মীর স্নিগ্ধ বলেন, “এই ফাউন্ডেশন বেসরকারি একটা সংস্থা হিসেবে শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসনে সহায়তা করছে। তালিকা চূড়ান্তের বিষয়ে সরকার কাজ করছে।”

প্রতারণা বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জেলা-উপজেলা প্রশাসনসহ এমআইএসের সাথে যারা জড়িতদের প্রতিনিয়ত প্রতারণার বিষয়টি জানাচ্ছি। ইতিমধ্যে ৪ জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই সমস্যার সমাধান সরকারকে করতে হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫