কর্মব্যস্ত ঢাকায় সুনসান নীরবতা, ফাঁকা রাস্তায় বাধাহীন ছুটছে গাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৫, ১১:১৪

ঢাকার ফাঁকা রাস্তায় বাধাহীন ছুটছে গাড়ি। ছবি- সংগৃহীত
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঢাকা ছাড়ছেন মানুষ। গত বৃহস্পতিবার থেকেই ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে সড়ক-মহাসড়কে। মানুষের চাপ কমে যাওয়ায় ফাঁকা হতে থাকে ঢাকা। শনিবার ঢাকার রাস্তায় নেই চিরচেনা ব্যস্ততা, নেই যানজট।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর হতে পারে। সম্ভাব্য এই তারিখ ধরে ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ছিল ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস। সেদিন অফিস করে বিকেলেই অনেকে বাড়ির পথ ধরেন। পরদিন শুক্রবার ভিড়টা ছিল তুলনামূলক বেশি। বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও লঞ্চঘাটে ঘরমুখী মানুষদের ভিড় বাড়তে থাকে।
শনিবার সকালে অনেককে ঢাকা ছাড়তে দেখা গেছে। তবে সেই সংখ্যা গত দুই দিনের তুলনায় অনেকটা কম। সকাল থেকে মানুষ বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও লঞ্চঘাটের দিকে যাচ্ছেন।
ঢাকা ছেড়ে অনেকে গ্রামে যাওয়ায় চাপ কমেছে রাজধানীর ওপর। তীব্র যানজটে স্থবির হয়ে থাকায় ঢাকার সড়কগুলো এখন অনেকটা ফাঁকা। কোনো সড়কেই নেই গাড়ির চাপ। মানুষের কোলাহলও কম। ফুটপাতে হকারও নেই। ছোট-বড় গাড়ির লম্বা সারি নেই। কলরব হারিয়ে যেন ঘুমিয়ে আছে ঢাকা।
সব মিলিয়ে লম্বা ছুটির কারণে অন্যরকম একটা দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে ঢাকার সড়কে।
শনিবার সকাল থেকে নগরীর বিজয় সরণী, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, বাংলামোটর, মহাখালী ও নতুনবাজারের মতো ব্যস্ত এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
প্রতিটি জায়গায় সড়ক ফাঁকা। কোথাও মোড়ে দেখা যায়নি ট্রাফিক জ্যাম। গাড়ির সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম। আর যেসব বাস চলছে সেগুলোতেও ছিল না যাত্রীদের ভিড়। তবে কল্যাণপুর ও গাবতলীগামী যানগুলোতে মানুষের চাপ তুলনামূলক বেশি দেখা গেছে। এসব রুটে চলাচল করা গাড়ির সংখ্যা অন্য সড়কের তুলনায় বেশি।
কোনো সড়কেই সিগন্যালেও আটকে থাকতে হচ্ছে না গাড়িকে। কোথাও সিগন্যালে আটকে থাকতে হলেও সেই সময়টা বেশিক্ষণ স্থায়ী থাকছে না। সর্বোচ্চ এক মিনিটের মতো থামতে হচ্ছে যানগুলোকে। আর এমন সড়ক পেয়ে বাধা ছাড়াই তীব্র গতিতে ছুটছে গাড়ি।
সড়কের এমন চিত্র দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন নগরবাসী। এমন দৃশ্য যেন কর্মমুখর দিনগুলোতেও থাকে এমনটা প্রত্যাশা করছেন তারা। সাতসকালে জরুরি কাজে যারা ঘর থেকে বেরিয়েছেন সড়কের এমন চিত্র দেখে তারা অনেকটা অবাক হয়েছেন।
রামপুরা থেকে কারওয়ানবাজারে সকালে অফিসে আসেন গণমাধ্যমকর্মী সাদেকুল। তিনি বলেন, প্রতিদিন রামপুরা থেকে অটোরিকশায় কারওয়ান বাজারে আসার সময় জ্যামে পড়তে হতো। এজন্য আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টাও সময় লাগতো। আজ ফাঁকা রাস্তায় ১০ মিনিটের মতো সময় লেগেছে। আজকের মতো কর্মব্যস্ত দিনগুলোতেও এমন হলে কত কর্মঘণ্টা বেচে যেত।