ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোতে ঈদের ছুটিতে ফাঁকা বাসায় যেন চুরি কিংবা দস্যুতার ঘটনা না ঘটে সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখার কথা বলেছেন র‍্যাব মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান।

শনিবার দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বনে।

র‌্যাব প্রধান বলেন, “ঈদের সময় ঢাকাসহ বড় বড় শহরগুলোতে মানুষজন কমে যায়, ফলে বাসা বাড়ি ফাঁকা থাকে। তাই ঢাকা বাসাতে চুরি কিংবা দস্যুতা যেন না ঘটে সেজন্য আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি এবং এখানেও আমরা নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি।”

ঈদের ছুটির পর ফিরতি যাত্রা যাতে নির্বিঘ্নে হয় সেখানেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, “এছাড়া জাল টাকা, মলম পার্টি ও বিভিন্ন ধরনের অপরাধ প্রতিরোধেও আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি।”

সবাই যাতে ঈদকে উপভোগ করতে পারে সেজন্য সব চেষ্টা অব্যাহত আছে মন্তব্য করে ব্রিফিংয়ে বলা হয়, “ইনশাল্লাহ আমরা আশাবাদী এবারের ঈদ আমরা নির্বিঘ্নে করতে পারব।”

ঈদ জামাতের পাশাপাশি বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানানো হয় ব্রিফিংয়ে। র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, নারী ও শিশুদের কেউ যেন ইভটিজিং কিংবা যৌন হয়রানি না করতে পারে সেদিনে নজর থাকবে তাদের।

এবারের ঈদ যাত্রাটা অন্যান্য বছরের তুলনায় স্বস্তিদায়ক হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “রাস্তাঘাটে যানজট কম এবং বিভিন্ন টার্মিনালগুলোতেও তুলনামূলক যানজট কম। এছাড়া অপরাধের মাত্রাও কিছুটা কম।"

ঈদকে কেন্দ্র করে রোজার মাসের শুরু থেকেই ছিনতাই ও চাঁদাবাজি মতো নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও তুলে ধরেন শহিদুর রহমান।

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন এখন ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মত অপরাধ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ এসেছে। ঈদের আগে ঈদের দিন এবং ঈদের পরে এই তিন ধাপে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। ঈদ পূর্ববর্তী ধাপের প্রায় শেষ পর্যায়ে আমরা।

ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করার জন্য অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে কাজ করার কথাও তুলে ধরেন র‌্যাব প্রধান। বলেন, “হাইওয়েতে যেন ডাকাতি না হয় এবং দুর্ঘটনা যাতে কম হয় সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”