সম্পর্কের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় ইউনূসকে পাকিস্তানে আমন্ত্রণ শেহবাজের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭:৩৩

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পারছেন জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
সোমবার ঈদ উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানাতে ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন পাকিস্তানের সরকার প্রধান। পরে সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে বিষয়টি নিয়ে লেখেন তিনি।
শেহবাজ জানান, ফোনালাপে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি তারা পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ইউনূসকে তার সুবিধামত সময়ে পাকিস্তান সফরেরও আমন্ত্রণ জানানোর কথাও লেখেন শেহবাজ।
পোস্টে তিনি ইনশাআল্লাহ উল্লেখ করে বলেন, পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল দেখতে পাচ্ছেন।
বাংলাদেশের সংগীতশিল্পী রুনা লায়লাসহ বাংলাদেশের একটি সাংস্কৃতিক দলকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে। পাকিস্তানে বাংলাদেশের সংগীত শিল্পী রুনা লায়লার জনপ্রিয়তা রয়েছে।
পাকিস্তান আমলে রুনা পশ্চিম পাকিস্তানে টেলিভিশনের সংগীতের প্রোগ্রাম করতেন। উর্দু অনেক চলচ্চিত্রেও তিনি গানের প্লেব্যাক করেছেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক শীতল ছিল। গত ৫ আগস্ট তুমুল গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের পতনের পর ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে এগিয়ে আসে। অন্তর্বর্তী সরকার ইতিবাচক সাড়া দেওয়ায় দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে।
স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম-করাচি রুটে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের পণ্য কায়িক পরীক্ষা ছাড়াই বাংলাদেশের বন্দর ছাড়বে-এমন আদেশও জারি হেয়ছে।
গত বছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সম্মেলনের মধ্যেই ইউনূস ও শেহবাজ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও করেছিলেন।
সরকারে আসার পর ইউনূস একাধিকবার রাষ্ট্রীয় সফরে বিদেশে গেলেও প্রায় আট মাসে দ্বিপাক্ষিক সফর তিনি একটিই করেছেন। গত ২৬ থকে ২৭ মার্চ চীনের এই সফরকে ঘিরে সরকারের তরফে বেশ উচ্ছ্বাস ছিল; তবে সরকারপ্রধানের প্রেস সচিব শফিকুল আলম ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য হিন্দুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইউনূস প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে বেইজিংয়ের বদলে নয়াদিল্লিতেই যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ভারতের তরফে সাড়া আসেনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সময় চেয়ে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে, তবে ভারত সেসব চিঠির কোনো জবাব দেয়নি।